অ্যামেরিকা থেকে বিতাড়নের পর বিভিন্ন দেশের অভিবাসীদের গ্রহণে চলতি সপ্তাহে আফ্রিকার পাঁচটি দেশের প্রেসিডেন্টকে ডনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসন চাপ দিয়েছে বলে জানিয়েছেন দুজন কর্মকর্তা।
এ সংক্রান্ত আলোচনার সঙ্গে পরিচিত দুই কর্মকর্তার একজন অ্যামেরিকা ও অন্যজন লাইবেরিয়ার।
তারা বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে জানান, বুধবার হোয়াইট হাউসে প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন লাইবেরিয়া, সেনেগাল, গিনি-বিসাউ, মৌরিতানিয়া ও গ্যাবনের প্রেসিডেন্ট। ওই সময় তাদের সামনে বিতাড়িতদের গ্রহণের পরিকল্পনাটি উপস্থাপন করা হয়।
এ বিষয়ে জানতে চেয়ে রয়টার্সের করা প্রশ্নের উত্তর দেয়নি হোয়াইট হাউস। পাঁচ দেশের আনুষ্ঠানিক মুখপাত্ররাও কোনো জবাব দেননি।
দেশগুলোর কোনোটি পরিকল্পনা বাস্তবায়নে রাজি হয়েছে কি না, তাও তাৎক্ষণিকভাবে পরিষ্কার হওয়া যায়নি।
চলতি বছরের জানুয়ারিতে দ্বিতীয় মেয়াদে প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেন ট্রাম্প। এর পর থেকে অভিবাসীদের বিতাড়ন ত্বরান্বিত করতে চাপ দেন তিনি।
কোনো অভিবাসীকে মাতৃভূমিতে পাঠানোর ক্ষেত্রে জটিলতা থাকলে বা বিলম্ব হলে তাদের তৃতীয় দেশে পাঠানোর তাগিদ দেন রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট।
গত শনিবার আইনি লড়াইয়ে হারা আট অভিবাসীকে পাঠানো হয় দক্ষিণ সুদানের রাজধানী জুবায়। এসব অভিবাসী কিউবা, লাওস, মিয়ানমার, সুদান ও ভিয়েতনাম থেকে অ্যামেরিকায় গিয়েছিলেন বলে জানান তাদের আইনজীবীরা।
অ্যামেরিকার কর্মকর্তা রয়টার্সকে জানান, হোয়াইট হাউসে বুধবারের বৈঠকের অংশবিশেষ ছিল বিতাড়ন পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনার জন্য।
এ কর্মকর্তা আরও জানান, লাইবেরিয়ার রাজধানী মনরোভিয়াতে অভিবাসীদের জায়গা দেওয়ার একটি চেষ্টার সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিল আফ্রিকার দেশটি।
লাইবেরিয়ার কর্মকর্তা জানান, বুধবারের বৈঠকের মূল বিষয়ের একটি ছিল অভিবাসন পরিকল্পনা।
লাইবেরিয়ার প্রেসিডেন্ট জোসেফ বোয়াকাই এ পরিকল্পনার সঙ্গে একমত পোষণ করেছেন কি না, সে বিষয়ে কিছু জানাননি এ কর্মকর্তা।