ভারতের উত্তর প্রদেশের কানপুরে বন্ধুর বোনের সঙ্গে সম্পর্কের জেরে ২২ বছরের যুবককে গলা কেটে হত্যা করে মাথা আলাদা করেছে হত্যাকারীরা।
পুলিশের বরাতে এনডিটিভি সোমবার জানায়, বোনের সঙ্গে সম্পর্কের কথা জানাজানি হলে ভুক্তভোগীর সঙ্গে বিবাদ হয় বন্ধুর। এর জেরে তরুণকে হত্যা করা হয়।
সংবাদমাধ্যমটি জানায়, ভুক্তভোগী ঋষিকেশ কানপুরের চাকেরি এলাকার বাসিন্দা। রবিবার তার নিখোঁজের কথা জানিয়েছিলেন বড় ভাই। ততক্ষণে তরুণের মরদেহ মেলে মহারাজপুর এলাকায়।
মাথাবিহীন মরদেহটি পড়ে ছিল নদীর তীরে।
এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মূল অভিযুক্তসহ চারজনের হদিস মিলছে না।
নিখোঁজ
পুলিশ জানায়, ২৯ আগস্ট সন্ধ্যায় ঘটনার সূত্রপাত। ওই সময় প্রতিবেশী দুই বন্ধু মোগলি ও নিখিল বাড়ি থেকে বের করে আনেন ঋষিকেশকে। বন্ধুদ্বয় পরিবারের কাছে জানান, তারা ঋষিকেশকে নিয়ে যাচ্ছেন গণেশ চতুর্থী পান্ডালে।
সে সময় পান্ডালের কাছে অপেক্ষায় ছিলেন পবন, ববি, ড্যানি, সত্যম, রিষু ও আকাশ। এ আটজন মিলে ঋষিকেশকে মোটরসাইকেলে জোর করে তুলে নিয়ে যান কানপুরের উপকণ্ঠে জনবিহীন কাকোরি বনে।
দুই দিন পর ঋষিকেশ না ফেরায় তার বড় ভাই পুলিশের কাছে অপহরণের আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দায়ের করেন।
বনে হত্যা
পুলিশের ভাষ্য, কাকোরি বনে ঋষিকেশের হাত-পা বেঁধে ছুরি দিয়ে গলা কেটে তাকে হত্যা করা হয। দেহ যাতে শনাক্ত করা না যায়, সে জন্য তার শিরশ্ছেদ করা হয় বলে স্বীকার করেন অভিযুক্তরা।
পুলিশ আরও জানায়, যুবকের দেহাবশেষ সরাতে আগে থেকেই একটি বস্তা এনে রাখা হয়। তারপর হত্যাকারীদের দলটি একটি ই-রিকশা ভাড়া করে বিচ্ছিন্ন দেহের অংশ দুটি ফেলে দেয় জাজমৌ সেতুর নিচে গঙ্গা নদীর একাধিক অংশে।