শিক্ষার্থীদের নতুন করে ভিসা সাক্ষাৎকারের সময়সূচি দেওয়া স্থগিত রাখতে অ্যামেরিকার দূতাবাসগুলোকে নির্দেশ দিয়েছে হোয়াইট হাউস।
সিবিএস নিউজের প্রতিবেদনে জানানো হয়, ভিসা আবেদনকারীদের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম খতিয়ে দেখার পরিসর বাড়াতে ট্রাম্প প্রশাসনের তৎপরতার মধ্যে এমন নির্দেশ দেওয়া হলো।
এর মধ্য দিয়ে অ্যামেরিকার প্রতিষ্ঠানে আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের প্রবেশের সুযোগে আরেক দফা প্রতিবন্ধকতা তৈরি করল রিপাবলিকান প্রেসিডেন্টের নেতৃত্বাধীন প্রশাসন।
সিবিএস নিউজের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, কূটনৈতিক মিশনগুলোর কাছে একটি তারবার্তা পাঠিয়েছেন সেক্রেটারি অব স্টেইট মার্কো রুবিও। সে বার্তার একটি কপি পেয়েছে সিবিএস।
যে কারণে সাক্ষাৎকার স্থগিত
বার্তায় বলা হয়েছে, বর্ধিত যাচাই-বাছাইয়ের অংশ হিসেবে শিক্ষার্থী ও ফরেইন এক্সচেঞ্জ ভিসার জন্য নতুন কোনো সাক্ষাৎকারের সময়সূচি না দিতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে, তবে যেসব শিক্ষার্থীকে এরই মধ্যে সময় দেওয়া হয়েছে, তাদের সাক্ষাৎকার নেওয়া যাবে।
এতে উল্লেখ করা হয়, পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া নাগাদ এ স্থগিতাদেশ বহাল থাকবে।
রুবিওর পাঠানো বার্তায় আরও বলা হয়, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম খতিয়ে দেখা ও যাচাই-বাছাইয়ের পরিসর বাড়ানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে স্টেইট ডিপার্টমেন্ট। এর আওতায় আসতে পারেন শিক্ষার্থী ভিসার জন্য সব আবেদনকারী।
এতে উল্লেখ করা হয়, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম খতিয়ে দেখার পরিসর বাড়ানোর ‘উল্লেখযোগ্য প্রভাব’ আছে দূতাবাস ও কনস্যুলেটগুলোর কর্মকাণ্ডের ওপর। সেটি বিবেচনায় নিয়ে নতুন সাক্ষাৎকার স্থগিত রাখা আবশ্যক।
রুবিরও বার্তার বিষয়ে প্রথম খবর প্রকাশ করে পলিটিকো।
নতুন নীতির বিষয়ে জানতে স্টেইট ডিপার্টমেন্ট ও হোয়াইট হাউসের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে সিবিএস নিউজ।
পড়াশোনার জন্য অ্যামেরিকায় যেতে আগ্রহী বিদেশি শিক্ষার্থীদের সাধারণত অ্যামেরিকান দূতাবাস বা কনস্যুলেটে সাক্ষাৎকার দিতে হয়। ভিসা আবেদন প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে সাধারণত নিজ দেশেই এ সাক্ষাৎকারে অংশ নেন শিক্ষার্থীরা।
সাক্ষাতের জন্য অপেক্ষার সময় দূতাবাস বা দেশভেদে ভিন্ন ভিন্ন হয়। বেশির ভাগ দূতাবাসে শিক্ষার্থী ভিসার জন্য সাক্ষাৎকারের জন্য দুই সময়ের কম সময় আগে জানানো হয়। যদিও কিছু কিছু কূটনৈতিক মিশনে এ সাক্ষাৎকার দিতে আরও বেশি সময় অপেক্ষা করতে হয় শিক্ষার্থীদের।