জেফারসন কাউন্টি কমিশনার অফিস জানিয়েছে, গত সপ্তাহে ফ্লয়েড ব্লেডসো নামের ওই ব্যক্তির জন্য ৭.৫ মিলিয়ন ডলারের ক্ষতিপূরণ অনুমোদিত হয়েছে। প্রথম দফায় তিনি ১.৫ মিলিয়ন ডলার পাবেন। বাকিটা আগামী ১০ বছর ধরে দেয়া হবে।
এবিসি নিউযে বলা হয়েছে, এক কিশোরীকে ধর্ষণ ও হত্যার দায়ে ২০০০ সালে সাজা দেয়া হয় ফ্লয়েডকে। সে সময় তার বয়স ছিল ২৩।
তার ভাই টম ব্লেডসো এর আগের বছর ওই মেয়েটিকে হত্যার কথা স্বীকার করে থানায় আত্মসমর্পণ করেন ও লাশ উদ্ধারে পুলিশকে সাহায্য করেন। পরে তাকে ছেড়ে দিয়ে গ্রেপ্তার করা হয় ফ্লয়েডকে। পলিগ্রাফি টেস্টে পাস না করায় তাকে দোষি সাব্যস্ত করা হয়।
২০১৫ সালে প্রকাশ হওয়া ডিএনএ টেস্টের রিপোর্টে দেখা যায়, ওই কিশোরীর দেহে যে শুক্রাণু পাওয়া গেছে তা টম ব্লেডসোর। সে বছরই টম আত্মহত্যা করেন। সুইসাইড নোট লিখে তিনি মেয়েটিকে হত্যার দায় আবারও স্বীকার করেন।
পরের বছর ফ্লয়েডের বিরুদ্ধে মামলা খারিজ করে তাকে বেকসুর খালাস দেয়া হয়। বের হয়ে ক্ষতিপূরণের মামলা করেন ফ্লয়েড ব্লেডসো। অভিযোগ করেন, জেফারসন কাউন্টি কর্তৃপক্ষ তার ভাইকে স্বীকারোক্তি প্রত্যাহার করতে চাপ দেয় ও মামলায় তাকে ফাসিয়ে দেয়। তার নির্দোষ হওয়ার সব প্রমাণ মিটিয়ে দেয়া হয়।
ফ্লয়েডের আইনজীবী রাসেল আইন্সওর্থ জানান ক্ষতিপূরণ আপোষে না দিলে মামলাটি বিচারের দিকে যেত। তখন কাউন্টি কর্তৃপক্ষকে ৪০ মিলিয়ন ডলার পর্যন্ত ক্ষতিপূরণ ফ্লয়েডকে দিতে হতো।