অ্যামেরিকার প্রথম স্টেইট হিসেবে মন্টানায় টিকটক নিষিদ্ধ

টিবিএন ডেস্ক

মে ১৮ ২০২৩, ২০:৫১

মন্টানা স্টেইটে নিষিদ্ধ হয়েছে টিকটক। ছবি: সংগৃহীত

মন্টানা স্টেইটে নিষিদ্ধ হয়েছে টিকটক। ছবি: সংগৃহীত

  • 0

অ্যামেরিকায় প্রথম স্টেইট হিসেবে টিকটক নিষিদ্ধ করেছে মন্টানা সরকার। রিপাবলিকান গভর্নর গ্রেইগ যিয়ানফোর্টে গত বুধবার টিকটক বন্ধের বিলে সই করেন।

টিকটক বন্ধের আইনটি ২০২৪ সালের ১ জানুয়ারি থেকে কার্যকর হবে।

অ্যামেরিকাকে টিকটক-ফ্রি হিসেবে গড়ে তুলতে চান আইনপ্রণেতারা। মন্টানা স্টেইটে টিকটক বন্ধের মাধ্যমে পরীক্ষামূলকভাবে জনগণের প্রতিক্রিয়া দেখবেন তারা।

তবে আইনপ্রণেতারা মন্টানা স্টেইটে টিকটক পুরোপুরি বন্ধ করতে আইনি চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হওয়ার আশঙ্কা করেছেন। 

সাইবার সিকিউরিটি বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, টিকটকের নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করা অত্যন্ত কঠিন হবে।  

যিয়ানফোর্টে এক বিবৃতিতে বলেন, ‘আজ, মন্টানাদের ব্যক্তিগত তথ্য, সংবেদনশীল ব্যক্তিগত তথ্য চাইনিজ কমিউনিস্ট পার্টি যাতে হাতিয়ে নিতে না পারে সেজন্য সবচেয়ে প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত নিয়েছে মন্টানা।’

চাইনিজ টেক কোম্পানি বাইট ড্যান্সের মালিকানাধীন টিকটক এর ব্যবহারকারীদের তথ্য চাইনিজ সরকারের কাছে হস্তান্তরের অধিকার রাখে। এ কারণে এফবিআই, সিআইএসহ অসংখ্য সংস্থার তদন্তের মুখে পড়েছে টিকটক। তবে এখনো পর্যন্ত টিকটকের বিরুদ্ধে উদ্বেগজনক অভিযোগের তথ্য প্রমাণ উপস্থাপন করেননি আইনপ্রণেতারা। 

টিকটকের মুখপাত্র ব্রুক ওবারওয়েটার জানিয়েছেন, নিষেধাজ্ঞার আইনটি সংবিধানের প্রথম সংশোধনী বিষয়ক অধিকারের লঙ্ঘন। টিকটকে নিষেধাজ্ঞা সম্পূর্ণ বেআইনি।

টিকটক কর্তৃপক্ষ এ আইনের বিপক্ষে কোনো মামলা করবে কিনা তা জানাননি ওবারওয়েটার। 

এক বিবৃতিতে ওবারওয়েটার বলেন, ‘আমরা মন্টানাদের আশ্বস্ত করছি, তারা নিজেদের প্রতিভা তুলে ধরতে, জীবিকা নির্বাহ করতে ও নিজেদের সম্প্রদায় খুঁজে পেতে টিকটকের ব্যবহার চালিয়ে যেতে পারবে। আমরা মন্টানার ভেতরে ও বাইরে আমাদের ব্যবহারকারীদের অধিকার রক্ষায় কাজ করে যাচ্ছি।’ 

একই সঙ্গে যিয়ানফোর্টে গত বুধবার ১ জুন থেকে সব রাষ্ট্রীয় ডিভাইসে ও মন্টানায় সরকারি কাজের জন্য বিদেশিদের সঙ্গে যুক্ত সব সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাপ্লিকেশন ব্যবহার নিষিদ্ধ করার ঘোষণা দিয়েছেন। 

টিকটকের পাশাপাশি নিষেধাজ্ঞার তালিকায় রয়েছে চীনের তৈরি উইচ্যাট ও রাশিয়ায় প্রতিষ্ঠিত টেলিগ্রাম মেসেঞ্জার। 


0 মন্তব্য

মন্তব্য করুন