কী কী পরিবর্তন আসছে অ্যামেরিকার নাগরিকত্ব পরীক্ষায়?

টিবিএন ডেস্ক

প্রকাশিত: আগস্ট ২৯ ২০২৫, ২২:২০

অ্যামেরিকার পতাকা হাতে এক ব্যক্তি। ছবি: পিবিএস

অ্যামেরিকার পতাকা হাতে এক ব্যক্তি। ছবি: পিবিএস

  • 0

‘আগে দেখা যেত যে একটা যদি আপনার ড্রিংক ড্রাইভিংযের কেইস থাকত, ক্রিমিনাল কেস, দ্যান তারা এটা নিয়ে বদার করত না, কিন্তু ওয়ার এজ এখন আপনার একটাও স্পিডিং টিকেট থাকলে অথবা একটাও যদি ডিইউআইযের কেস থাকে, দে আর স্টপিং ইউর সিটিজেনশিপ।’

চলতি বছরের শুরুতে দ্বিতীয় মেয়াদে দায়িত্ব গ্রহণের পর আইনি বৈধতা না থাকা অভিবাসীদের বিতাড়নকে এজেন্ডার শীর্ষে রেখেছেন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প। তার এ মেয়াদে কঠিন করা হচ্ছে নাগরিকত্বের পরীক্ষা।

অ্যামেরিকার নাগরিক হওয়ার পূর্ব প্রক্রিয়ায় কী কী পরিবর্তন আসছে, তা অ্যাটর্নি ইসরাত সামীর কাছে জানতে চেয়েছেন টিবিএন অ্যানালাইসিসের সঞ্চালক রানা আহমেদ। অ্যাটর্নি সর্বশেষ পরিস্থিতির আলোকে দিয়েছেন প্রশ্নটির উত্তর।

টিবিএন: …আপনার কাছে প্রথমেই জানতে চাইব যে, এই নাগরিকত্ব পরীক্ষায় আসলে কী কী পরিবর্তন আনা হচ্ছে। দুই হচ্ছে যে, নাগরিকত্বের এই নতুন নিয়মগুলো মূলত যারা ইমিগ্র্যান্ট আছে, তাদের জন্য আরও কঠিন ফাঁদ তৈরি করবে…। এর ফলে নাগরিকত্বের আবেদন রিজেক্ট হওয়ার সম্ভাবনা সত্যই কি বাড়বে? এ বিষয়টি আপনার কাছে থাকবে এবং সাধারণত যারা দীর্ঘদিন আমেরিকায় বসবাস করছেন, কিন্তু ইংরেজি বা ইতিহাস বা ভূগোলে বেশ দুর্বল, তাদের জন্য এই পরিবর্তন কতটা ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে দাঁড়াতে পারে এবং যে প্রশ্নটি খুব গুরুত্বপূর্ণ হতে যাচ্ছে গুড মোরাল ক্যারেক্টার। এটার যে একটা প্রমাণ নেইবারহুড বা ওয়ার্কসপ্লেস ইনভেস্টিগেশন পুনরায় চালু হচ্ছে কি না এটি এবং আপনার কাছে সর্বশেষ যে প্রশ্নটি আমি রাখতে চাই যে, আমাদের কমিউনিটির মধ্যে অনেকেই আছেন একটু আতঙ্কে আছেন যে, তারা যে কঠিন যে পরীক্ষাটি হচ্ছে। এ ক্ষেত্রে আপনি কী পরামর্শ দেবেন তাদের, এই নাগরিকত্বের আবেদন করতে যাচ্ছেন বা তারা যে প্রস্তুতি নিতে যাচ্ছেন তাদের বিষয়ে?

ইসরাত সামী: ধন্যবাদ ভাই। এই জিনিসটা নতুন করে যেটা আমরা বলছি, আগেও ছিল গোলমেলে ক্যারেক্টার, কিন্তু এখন এমফেসিস (জোর) দেওয়া হচ্ছে মোর…আগে আপনি সিভিক টেস্ট পাস করলে, আপনার ইয়েস, নো প্রশ্নগুলো জাস্ট দিতে পারলেই আপনাকে ইউজুয়ালি পাস করিয়ে দেওয়া হতো আরকি সিটিজেনশিপ। আগে ইউএসসিআইএসের একটা ইয়ে ছিল যে কীভাবে সিটিজেনশিপ দেওয়া যায়, এ রকম একটা ছিল।

এখন হচ্ছে যে কীভাবে আপনাকে আটকে দেওয়া যায়। এটা আমরা ডনাল্ড ট্রাম্পের প্রথম চার বছর যখন ছিলেন, তখনও এই জিনিসটা আমরা দেখতে পেয়েছি, কিন্তু গুড মোরাল ক্যারেক্টারের ওপর এত চাপ দেওয়া হয়নি তখন। এখন যেটা করা হচ্ছে।

…মেইন ইম্পর্টেন্ট জিনিস যেটা হচ্ছে যে, আপনার যদি সিটিজেনশিপের পরীক্ষা দেওয়ার সময় এসে গেছে, ডু ইট এস সুন এজ পসিবল এবং আপনার তারা যেটা বলছে যে গুড মোরাল ক্যারেক্টার, সেটা তারা দেখতে পারে এবং আপনার নেইবারহুড ইনভেস্টিগেশনও যেতে পারে। এটা আপনার সিটিজেনশিপ পরীক্ষার ইন্টারভিউর পরে তারা যাবে এবং ওয়ার্কপ্লেসেও তারা যেতে পারেন ফর ভেরিফিকেশন।

তো সে জন্য যা ইনফরমেশন আপনি ফর্মে দিবেন, এভরিথিং শুড ম্যাচ এবং কোনো ইনকনসিস্টেন্সি যেন না থাকে। আমরা রিসেন্টলি যেটা দেখছি যে, ইন্টারভিউতে গিয়ে তারা অ্যাড্রেসে অনেক এমফেসিস করছেন এবং পাঁচ বছরের অ্যাড্রেস নেওয়ার কথা তাদেরকে টেস্টে, তারা কিন্তু আপনি ইউএসএতে একজন আমাদের ক্লায়েন্ট যিনি ১০ বছর হয়েছেন এখানে থাকছেন, পাঁচ বছরের আগের অ্যাড্রেসগুলো উনি ঠিক সেভাবে মনে করে যাননি আরকি; মনে নেই উনার এবং না থাকাটাই স্বাভাবিক। পাঁচ বছর/ছয় বছর/সাত বছর আগে কোন অ্যাড্রেসে ছিলেন…আমরা তো ফ্রিকোয়েন্টলি অনেকেই নতুন হিসেবে অ্যাড্রেস চেঞ্জ করি।

সো ওই অ্যাড্রেসগুলো না থাকার কারণে উনাকে জাস্ট ফার্স্ট ইন্টারভিউতে উনার আরও একটা চান্স আছে। বাট ফার্স্ট ইন্টারভিউতে উনাকে দিলেন না। যেহেতু শি কুডন্ট সে, বাট হোয়ারএজ এটা বলছে ফাইভ ইয়ার্সের অ্যাড্রেস দেওয়ার কথা এবং সে ফাইভ ইয়ার্স সে দিতে পেরেছে। এটা হচ্ছে যে একটা (পরিবর্তন)।

আরেকটা হচ্ছে যে আপনার আগে যেমন আপনার অ্যাকসেন্ট যদি ভালো নাও হতো, আপনি প্রপারলি যদি বলতে নাও পারতেন, যদি তারা কোনভাবে আঁচ করে নিতে পারত, তাহলে কিন্তু পাস করিয়ে দিতেন। আর এখন তারা অলসো ফোকাসিং অন ইউর অ্যাকসেন্ট। হাউ ইউ আর টকিং। দ্যাট ইজ অ্যামেজিং।

টিবিএন: আমরা বাংলাদেশে ব্রিটিশ কলোনিয়াল ছিলাম; ১৯০ বছরের শাসনে ছিলাম। ইংরেজি যে আমরা শিখেছি, সেটা ব্রিটিশ অ্যাকসেন্টে শিখেছি। তো ব্রিটিশ অ্যাকসেন্ট, একই উচ্চারণ, একই দেখা যায়, কিন্তু বানান ভিন্ন হচ্ছে।

ইসরাত সামী: ওইটা না। ব্রিটিশ অ্যাকসেন্ট, অ্যামেরিকান অ্যাকসেন্ট না। যেমন: আমরা একটা জিনিস বলছি, উচ্চারণ করছি। যদি উচ্চারণটা ঠিকমতো না হয়…একটা জায়গার নাম হতে পারে। প্লেস বলতে পারে। ভ্যালাই প্লেস একটা জায়গার নাম হতে পারে। ভ্যালি প্লেস বলতে পারে। মানুষ ডিফারেন্ট ওয়েতে বলতে পারে। সেটার জন্য যে একটা মানুষকে আটকে দেবে সিটিজেনশিপের থেকে, ইন্টারভিউতে, দিস ইজ আমরা আগে কখনও এটা দেখি নাই।

সো এইটা আরও এখন হচ্ছে যে যেটা আপনার যদি কোনো ধরনের, ইভেন লাস্ট থার্টি ইয়ার্সেও যদি আপনার কোনো ক্রিমিনাল কনভিকশন থেকে থাকে, দে আর ব্রিঙ্গিং (আনছে) এটা। কোনো এররস (ভুল) যদি থেকে থাকে, ওটাও নিয়ে আসতেছে।

ফর এগজ্যাম্পল, আমাদের যদি নতুন যারা আসেন, তারা অনেক সময় এ দেশের সিস্টেমকে জানেন না। অনেক সময় তারা ডোমেস্টিক ভায়োলেন্সের শিকার হয়। তো এ রকম সময় অনেক সময় ফোন কল করে তারা পুলিশ কল করে কিন্তু ইংলিশ না জানার কারণে হয়তো পুলিশকে এক্সপ্লেইন করতে পারে নাই। এখন যেমন ইজিলি দোভাষী এভেইলেবেল, আগে এ রকম ছিল না।

কারও ক্ষেত্রে যদি এ রকম ডিভির কেইস থাকে, ডমিস্টিক ভায়োলেন্সের কেইস থাকে, যেমন: আপনি ভিকটিম। আপনি পুলিশকে কল করেছেন, বাট যখন পুলিশ এসেছে, তখন আপনি পুলিশকে এক্সপ্লেইন করতে পারেন নাই আপনার সিচুয়েশনটা। সো আপনি ভিকটিম হওয়ার পরিবর্তে আপনাকেই হয়তো ডিফেন্ডেন্ট বানানো হয়েছিল এই কেসে।

এ ধরনের কেসগুলো তারা নিয়ে আসতেছে এখন। ইভেন দো শি ওয়াজ অ্যা ভিকটিম, বাট উনি সে সময় এক্সপ্লেন করতে পারেন নাই উনার সেলফকে। সুতরাং পুলিশ অফিসারের কাছে যে কথা বলতে পেরেছে, তার মতো করেই পুলিশ অফিসার রিপোর্ট লিখেছেন এবং যে ভিকটিম, তার এগেইনস্টে হয়তো কেইসটা হয়েছে এবং সে জানেও না।

তো এ ধরনের কেইসগুলোও তারা নিয়ে আসছে। হোয়ার অ্যাজ আমরা যখন অ্যাটর্নি, আমরা যাই। আমাদের এই জিনিসগুলো যদি জানা থাকে আমার ক্লায়েন্টের ব্যাকগ্রাউন্ড কী এবং আমি এক্সপ্লেইন করতে পারি, তখন আমরা এই জিনিসগুলো, এই সিচুয়েশনগুলো হ্যান্ডেল করতে পারি প্রপারলি, কিন্তু আমার ক্লায়েন্ট যদি আমাকে এটা না বলে এবং ক্লায়েন্ট ভুলে যায় এটা বলতে, দেন ইট’স বিকাম ভেরি ডিফিকাল্ট।

পরে আমরা ইভেচুয়ালি আমরা যেয়ে আপিলে উইন করতে পারব, বাট দ্যাট ইজ আউট অব দ্য কোয়েশ্চান।

আমি যেটা বলছি যে, মানে এখনকার সিচুয়েশনটা আমরা যেটা এভরি ডে টু ডে দেখছি যে, কীভাবে তারা এটাকে ডিফিকাল্ট করে ফেলতেছে এবং আরও একটা জিনিস রিসেন্টলি দেখেছি যে ড্রিংক ড্রাইভিংয়ের ক্ষেত্রে।

যেমন: আগে দেখা যেত যে একটা যদি আপনার ড্রিংক ড্রাইভিংযের কেইস থাকত, ক্রিমিনাল কেস, দ্যান তারা এটা নিয়ে বদার করত না, কিন্তু ওয়ার এজ এখন আপনার একটাও স্পিডিং টিকেট থাকলে অথবা একটাও যদি ডিইউআইযের কেস থাকে, দে আর স্টপিং ইউর সিটিজেনশিপ।

পুরো অনুষ্ঠানটি দেখতে পারেন নিচের ভিডিওতে।