অ্যামেরিকার মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার বলেছেন, আংশিক সরিয়ে নেয়া হলেও দেশটির রাজধানী নিয়ামেতে অ্যামেরিকান অ্যাম্বাসি খোলা থাকবে।
তিনি বলেন, ‘আমরা নাইজারের জনগণ ও সে দেশের জনগণের সঙ্গে আমাদের সম্পর্কের প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আমরা দেশটির সর্বোচ্চ পর্যায়ে কূটনৈতিকভাবে জড়িত রয়েছি।’
নাইজারের ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ বাজুমের সঙ্গে বুধবার কথা বলেছেন ইউএস সেক্রেটারি অফ স্টেইট অ্যান্টোনি ব্লিনকেন।
তিনি বলেছেন, নাইজারের গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত বাজুমের সরকার পুনর্বহালের ব্যাপারে অ্যামেরিকা অঙ্গীকারবদ্ধ।
নাইজারে মানবিক ও নিরাপত্তা সহায়তার অন্যতম দাতা অ্যামেরিকা। বাজুমকে ক্ষমতাচ্যুত করায় দেশটির বর্তমান সামরিক সরকারকে হুঁশিয়ারি দিয়ে অ্যামেরিকা বলেছে, গণতান্ত্রিক সরকার পুনর্বহাল করা না হলে তাদের সব ধরনের সহযোগিতা স্থগিত হতে পারে।
এরই মধ্যে নাইজার থেকে অসংখ্য বিদেশি নাগরিককে সরিয়ে নেয়া হয়েছে। বাজুমকে মুক্ত করতে প্রেসিডেন্সিয়াল ভবনে হামলার ঘোষণা দিয়ে দেশটি থেকে ফ্রেঞ্চ নাগরিকদেরও সরিয়ে নিয়েছে ফ্রান্স।
তবে এই সামরিক অভ্যুত্থানের সমর্থনে গত রোববার বিক্ষোভকারীরা ফরাসি দূতাবাসে হামলা চালায়।
পিজি অভ্যুত্থানের নেতা জেনারেল আবদুরাহামানে চিয়ানি দেশটির ‘অভ্যন্তরীণ বিষয়ে বহির্বিশ্বের যেকোনো ধরনের হস্তক্ষেপের’ বিরুদ্ধে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।
বিক্ষোভের উপর সরকারি নিষেধাজ্ঞা থাকলেও নাইজারের স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে বৃহস্পতিবার অভ্যুত্থানের সমর্থনে বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।