সন্ত্রাসীর গুলিতে নিহত নিউ ইয়র্ক সিটি পুলিশ ডিপার্টমেন্ট-এনওয়াইপিডির কর্মকর্তা দিদারুল ইসলামের জানাজায় যোগ দিয়ে নিউ ইয়র্কের শীর্ষ কর্মকর্তারা বলেছেন, সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে গিয়ে জীবন দিয়ে তিনি দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন।
দিদারুলের পরিবারকে সব ধরনের সহযোগিতা নিশ্চিত করার পাশাপাশি তাকে মরণোত্তর ডিডেকটিভ ফার্স্ট গ্রেডে পদোন্নতি দেওয়ার ঘোষণা দেয় এনওয়াইপিডি।
জানাজায় যোগ দিয়ে সবার কাছে দোয়া চান দিদারুলের স্ত্রী।
ব্রঙ্কসের পার্কচেস্টার জামে মসজিদে জোহরের নামাজের পর দিদারুল ইসলামের জানাজায় নেমে আসে শোকের ছায়া।
দীর্ঘদিন যে মসজিদে নিয়মিত নামাজ পড়তেন এ পুলিশ কর্মকর্তা, সেখানেই অনুষ্ঠিত হয় তার শেষ নামাজ।
মসজিদের ইতিহাসে সর্ববৃহৎ এ জানাজায় যোগ দিতে নিউ ইয়র্ক সিটির বাইরে থেকেও আসেন অনেক শুভাকাঙ্ক্ষী।
ওই সময় দিদারুলের বৃদ্ধ বাবাকে সমবেদনা জানান গভর্নর ক্যাথি হোকুল।
জানাজা পূর্ববর্তী বক্তৃতায় তিনি বলেন, বাংলাদেশি কমিউনিটির মধ্যে আজ যে শোক বিরাজ করছে, তা তার আরেক পরিবার এনওয়াইপিডির সদস্যদের মধ্যেও কাজ করছে।
মেয়র এরিক অ্যাডামস দিদারুলের পরিবারের সদস্যদের সবসময় সহায়তা করার আশ্বাস দেন।
বক্তৃতা দেওয়ার সময় চোখের জল ধরে রাখতে পারেননি এনওয়াইপিডি কমিশনার জেসিকা টিশ।
তিনি বলেন, নিজের জীবন দিয়ে শুধু মানুষের নিরাপত্তা নয়, নিজের দুই সন্তান ও অনাগত সন্তানের নিরাপত্তার প্রতিশ্রুতিও দিয়ে গেলেন দিদারুল।
দিদারুলের অকাল প্রয়াণে তার তৃতীয় সন্তান সম্ভবা স্ত্রী জানান, স্বামীর প্রাণহানিতে তার হৃদয় ভেঙে গেলেও তিনি এ ভেবে গর্বিত যে, এর বিনিময়ে সেদিন অনেক মানুষ নিরাপদে ঘরে ফিরতে পেরেছেন।
মসজিদের ভেতর অনুষ্ঠিত জানাজায় ইমামতি করেন ড. জাকির আহমেদ।