সৌদি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক ঘোষণার বরাতে রাষ্ট্র-চালিত সৌদি প্রেস এযেন্সি জানিয়েছে, ওই দুই ব্যক্তির নাম জাফর সুলতান ও সাদেক থামের।
বিবৃতিতে বলা হয়, সৌদি আরবের ভেতরে বিশৃঙ্খলা ছড়ানো এবং বিস্ফোরক চোরাচালানের অভিযোগে বিশেষায়িত ফৌজদারি আদালত একটি জঙ্গি গোষ্ঠীর দুই ব্যক্তিকে দোষী সাব্যস্ত করে। বাহরাইন কর্তৃপক্ষও ওই দলের নেতৃত্ব দেয়া এক ব্যক্তিকে খুঁজছিল।
বিবৃতিতে ওই জঙ্গি গোষ্ঠী বা তাদের নেতার ব্যাপারে বিস্তারিত কিছু বলা হয়নি। তবে সৌদি আরব এর আগে জাতিসংঘকে জানায়, ওই দুই ব্যক্তির অনুপস্থিতিতে বাহরাইন তাদের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে। তাদের নাগরিকত্বও বাতিল করা হয়েছে।
সৌদি আরব বলছে, ২০১৫ সালের মে মাসে কিং ফাহাদ কযওয়েতে ৩৮ কিলোগ্রাম ওজনের ১১ ব্যাগ আরডিএক্স বিস্ফোরক, ৫০টি বিস্ফোরক ক্যাপসুল এবং বিস্ফোরণ কর্ডসহ তাদের আটক করা হয়।
অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল ও অন্য মানবাধিকার সংগঠন এই দুজনের বিচার প্রক্রিয়ার সমালোচনা করেছে। বাহরাইনে সরকারবিরোধী বিক্ষোভে অংশ নেয়ায় তাদের অভিযোগের মুখোমুখি করা হয় বলে দাবি করেছে অ্যামনেস্টি।
বাহরাইন ইনস্টিটিউট ফর রাইটস অ্যান্ড ডেমোক্রেসির পরিচালক সাইয়েদ আহমেদ আল ওয়াদাই দুই ব্যক্তির মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করায় বাহরাইন এবং সৌদি আরবের সমালোচনা করেছেন।
বিশ্বে মৃত্যুদণ্ড দেয়া দেশগুলোর মধ্যে অন্যতম সৌদি আরব। দেশটিতে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের সাধারণত শিরচ্ছেদ করা হয়ে থাকে।