মরদেহগুলোর পরিচয় শনাক্ত করেছে নর্থ স্লোপ পুলিশ ডিপার্টমেন্ট। এর মধ্যে ৫১ বছর বয়সী রোনাল্ড ড্যানেন ও ২৭ বছর বয়সী জাস্টিন জার্মানের বাড়ি ফেয়ারব্যাঙ্কসে। নিহত আরেক যাত্রী ২৬ বছর বয়সী টোরি মুর থাকতেন ইন্ডিয়ানার সাউথ বেন্ডে। তারা তিনজনই অ্যালাস্কা ডিপার্টমেন্ট অফ ন্যাচারাল রিসোর্সেসের বিজ্ঞানী।
জিওলজিক্যাল অ্যান্ড জিওফিজিক্যাল সার্ভে ডিভিশনের সদস্য ছিলেন তারা। মূলত নর্থ পোলে ফিল্ডওয়ার্কে যাওয়ার জন্য তারা হেলিকপ্টারটি ভাড়া করেছিলেন।
হেলিকপ্টারের পাইলট ৪৮ বছর বয়সী বার্নার্ড ‘টনি’ হিগডনের বাড়ি অ্যালাস্কার নর্থ পোলে।
দুর্ঘটনার জন্য পাইলটকে দায়ী করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে হেলিকপ্টারটির প্রতিষ্ঠান মেরিটাইম হেলিকপ্টার।
পাইলটের প্রশংসা করে কোম্পানির পক্ষ থেকে একটি বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘আমরা সবাই টনিকে সম্পূর্ণ পেশাদার ও দক্ষ পাইলট হিসেবেই চিনি। আমরা আমাদের সহকর্মীকে খুবই মিস করব।’
দুর্ঘটনার কারণ তদন্ত করছে ন্যাশনাল ট্রান্সপোর্টেশন সেফটি বোর্ড। মেরিটাইম হেলিকপ্টার তদন্তে বোর্ডকে পূর্ণ সহযোগিতার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।
বোর্ডের অ্যালাস্কা রিজিওনের চিফ ক্লিন্ট জনসন বলেছেন, বিধ্বস্ত হেলিকপ্টারের আরোহীদের উদ্ধারের জন্য ঘটনাস্থলে যাওয়ার একমাত্র পরিবহন ছিল হেলিকপ্টার। উত্তরাঞ্চলের বিশাল বরফাচ্ছাদিত মরুভূমির মধ্যে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা লেকগুলোর একটিতে সেটি বিধ্বস্ত হয়েছিল। আরেকটি হেলিকপ্টার ছাড়া সেটি খুঁজে বের করে পানি থেকে তুলে নেয়া বেশ কষ্টসাধ্য।
জনসন রোববার বলেন, ‘অ্যালাস্কায় প্রচণ্ড গরমের মৌসুম চলছে। বাণিজ্যিক হেলিকপ্টারগুলোর চাহিদা এখন তুঙ্গে। ফলে উদ্ধার কাজের জন্য হেলিকপ্টার পেতে আমাদের বেশ কষ্ট হয়েছে। উদ্ধারকাজ বিলম্বিত হওয়ার পেছনে এটি একটি কারণ।’
কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বিধ্বস্ত হেলিকপ্টারের ধ্বংসাবশেষ নর্থ পোলের উপকূলীয় শহর ওয়েনরাইটের কাছে পাওয়া গেছে। হেলিকপ্টারটি নর্থ স্লোপের উটকিয়াগভিক থেকে উড্ডয়ন করে আবার সেখানে ফিরে যাওয়ার কথা ছিল।
মরদেহ উদ্ধার করা হলেও ধ্বংসাবশেষ লেক থেকে তুলতে আরও সময় লাগবে বলে জানিয়েছেন জনসন।