আমিরাতে পাকিস্তানি আম এত জনপ্রিয় কেন?

টিবিএন ডেস্ক

প্রকাশিত: জুন ২৭ ২০২৫, ২৩:৫১

নানা জাতের পাকিস্তানি আম যায় আমিরাতে। ছবি: গালফ নিউজ

নানা জাতের পাকিস্তানি আম যায় আমিরাতে। ছবি: গালফ নিউজ

  • 0

আমিরাতে পাকিস্তানি আমের জনপ্রিয়তার মূলে রয়েছে উৎপাদন ক্ষেত্র। জাতীয় ফল হওয়ায় পাকিস্তানে অতি যত্ন নিয়ে উৎপাদন করা হয় ফলটি।

সোনালি হলুদ রং, মন জুড়ানো ঘ্রাণ ও মিষ্টতার কারণে অনেকের পছন্দের ফল আম। গ্রীষ্ম শুরুর সঙ্গে সঙ্গে সংযুক্ত আরব আমিরাত-ইউএইর লোকজন দোকানে দোকানে গিয়ে খুঁজতে শুরু করেন তাদের পছন্দের মৌসুমি ফলটি।

পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ থেকে আম যায় ইউএইতে, তবে পাকিস্তানের আম বিশেষভাবে জনপ্রিয় দেশটিতে। এর কারণসহ বিভিন্ন দিক প্রতিবেদনে তুলে ধরেছে গালফ নিউজ।

কেন এত জনপ্রিয়তা

আমিরাতে পাকিস্তানি আমের জনপ্রিয়তার মূলে রয়েছে উৎপাদন ক্ষেত্র। জাতীয় ফল হওয়ায় পাকিস্তানে অতি যত্ন নিয়ে উৎপাদন করা হয় ফলটি। দেশটিতে বেশির ভাগ আম উৎপাদন হয় সিন্ধু ও পাঞ্জাব প্রদেশে। এ ছাড়া ছোট পরিসরে এ ফল উৎপাদন হয় খাইবার পাখতুনখোয়াতে।

অন্য অঞ্চলগুলোর চেয়ে অপেক্ষাকৃত উষ্ণ তাপমাত্রার সিন্ধুতে গাছ থেকে ফল আগে পাড়া হয়। এ কারণে প্রতি বছরই ইউএইতে পাকিস্তানের রপ্তানিকৃত আমের প্রথম চালান যায় সিন্ধু থেকে। তার পরের চালানে সুমিষ্ট ফলটি যায় পাঞ্জাব থেকে। দ্বিতীয় চালানের ফল আমিরাতের বাজারে পাওয়া যায় জুলাই থেকে আগস্ট পর্যন্ত সময়ে।

জাতে বৈচিত্র্য

পাকিস্তানের প্রতিটি অঞ্চলে নিজস্ব জাতের আম উৎপাদন হয়। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, ঘরে ঘরে পরিচিত সিন্ধুর আমটির নাম ‘সিন্ধ্রি’। অন্যদিকে পাঞ্জাবের বিখ্যাত আমের নাম ‘আনোয়ার রাতোল’। আমের বৈচিত্র্যের জন্য পরিচিত দক্ষিণ এশিয়ার দেশটিতে ১০০টির বেশি জাতের রসাল উৎপাদন হয়। এগুলোর মধ্যে আছে ল্যাংড়া, দুশেহরি, ফজরি, সারোলি।

যেভাবে পাঠানো হয়

পাকিস্তানি আম কার্ডবোর্ডের বাক্স কিংবা কাঠের ক্যারেটে করে পাঠানো হয় ইউএইতে। একটি বাক্স বা ক্যারেটে পাঁচ কেজি, আট কেজি, ১০ কেজি বা তার বেশি আম থাকে।

অভিবাসীদের মধ্যে জনপ্রিয়তা

ইউএইতে পাকিস্তানি আমের জনপ্রিয়তার অন্যতম কারণ দেশটিতে থাকা পাকিস্তানিসহ দক্ষিণ এশিয়ার অন্য দেশ থেকে যাওয়া বিপুল অভিবাসী। তাদের চাহিদা পূরণে প্রতি বছর পাকিস্তান থেকে প্রচুর পরিমাণে আম রপ্তানি করা হয় ইউএইতে। সিন্ধ্রি, চৌনসা ও আনোয়ার রাতোল জাতগুলো ইউএইতে ব্যাপক জনপ্রিয়।

মান নিয়ন্ত্রণ ও চালানে কম সময়

সবচেয়ে ভালো আমগুলো ইউএইতে পাঠায় পাকিস্তান। মান নিয়ন্ত্রণে এ ধারাবাহিকতা দেশটির আমের প্রতি ভোক্তাদের আকৃষ্ট করে। পাকিস্তান থেকে আমিরাত অনেক বেশি দূর না হওয়ায় আমের চালানেও কম সময় লাগে। ফলে ভোক্তাদের তাজা আমের স্বাদ দিতে পারে দেশটি।

বৈশ্বিক উপস্থিতি

ইউএই ছাড়াও যুক্তরাজ্য, কানাডা, কাজাখস্তান, ওমান, কাতার ও জার্মানিতে জনপ্রিয় পাকিস্তানি আম। এর বাইরে জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, অস্ট্রেলিয়া ও অ্যামেরিকার বাজারে আমের রপ্তানি সম্প্রসারণ করতে চায় পাকিস্তান। এক প্রতিবেদনে এমন তথ্য জানিয়েছে পাকিস্তান ফ্রুট অ্যান্ড ভেজিটেবল এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন তথা পিএফভিএ।