ট্রাভেল এজেন্সি সংশ্লিষ্টরা বলছেন, চলতি বছর ঈদ করতে অ্যামেরিকা ছেড়েছেন প্রায় ৬০ হাজারের বেশি বাংলাদেশি।
বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর ১৯৭৩ সালে অ্যামেরিকায় বাংলাদেশি অভিবাসীর সংখ্যা ছিল মাত্র ১৫৪। ১৯৯০ এর দশকে ডাইভারসিটি ভিসার (ডিভি) সুযোগ শুরু হওয়ার পর এ সংখ্যা ব্যাপক হারে বাড়তে থাকে। বর্তমানে বাংলাদেশিরা অ্যামেরিকার সবচেয়ে দ্রুতবর্ধনশীল এশীয় জনগোষ্ঠী। ভারতীয়দের বৃদ্ধি যেখানে ৮৫ শতাংশ, পাকিস্তানিদের ১০০ শতাংশ; সেখানে বাংলাদেশিদের বৃদ্ধি ১৫৭ শতাংশ।
আদমশুমারিতে দেখা যাচ্ছে, ২০০০ থেকে ২০১০ সালের মধ্যে আমেরিকায় বাংলাদেশি জনসংখ্যা দ্বিগুণ হয়েছে। বর্তমানে অ্যামেরিকায় বসাবাসরত বাংলাদেশির সংখ্যা প্রায় ২০০,০০০।
এসব মানুষের অনেকে দেশে যাওয়ার জন্য বেছে নেন দুই ঈদের সময়কে। তবে সবচেয়ে বেশি মানুষ যান ঈদুল আজহার সময়ে।
চলতি বছর শুধু নিউইয়র্ক থেকেই ৫০ হাজারের বেশি মানুষ ঈদ করতে বাংলাদেশে গেছেন। পুরো অ্যামেরিকা থেকে গেছেন ৬০ হাজার। গত বছরের তুলনায় এ সংখ্যা বেশি বলে জানিয়েছেন বাংলা ট্রাভেলস অ্যান্ড ট্যুরসের প্রেসিডেন্ট ও সিইও বেলায়েত হোসেন বেলাল।
ট্রাভেল এজেন্সি সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন, এখানকার অভিবাসীদের পাশাপাশি সাম্প্রতিক সময়ে বিপুলসংখ্যক শিক্ষার্থী অ্যামেরিকায় উচ্চশিক্ষার জন্য এসেছেন। এবার সামার ভ্যাকেশান ও ঈদ একই সময়ে পড়ায় দেশে যাওয়ার ব্যাপারে তাদের আগ্রহ অনেক বেশি ছিল।
গ্লোবাল ট্যুরস অ্যান্ড ট্রাভেলের প্রেসিডেন্ট ও সিইও মো. শামসুদ্দিন বশির বলছেন, এবার অন্য বছরের তুলনায় বিমানভাড়া বেশি। এরপরেও ঈদযাত্রায় যাত্রীসংখ্যা কমেনি। অনেকে বাড়তি টাকা দিয়েই বাংলাদেশে ফিরেছেন।