কানাডার দাবানলের ধোঁয়ায় শ্বাসকষ্টে অ্যামেরিকার একাধিক রাজ্যের মানুষ

টিবিএন ডেস্ক

প্রকাশিত: মে ৩১ ২০২৫, ১৩:২০ হালনাগাদ: নভেম্বর ৫ ২০২৫, ১১:৫১

কানাডার ভয়াবহ দাবানলের ধোঁয়া ছড়িয়ে পড়েছে অ্যামেরিকার বিভিন্ন অঞ্চলে। ছবি: রয়টার্স

কানাডার ভয়াবহ দাবানলের ধোঁয়া ছড়িয়ে পড়েছে অ্যামেরিকার বিভিন্ন অঞ্চলে। ছবি: রয়টার্স

  • 0

কানাডার ভয়াবহ দাবানলের ধোঁয়া ছড়িয়ে পড়েছে অ্যামেরিকার মিনেসোটা, মিশিগান, ইলিনয় ও ইন্ডিয়ানার বিভিন্ন অঞ্চলে। এসব এলাকায় বাতাসের মান বিপজ্জনক পর্যায়ে পৌঁছানোয় এয়ার কোয়ালিটি অ্যালার্ট জারি করেছে স্থানীয় প্রশাসন। শ্বাসকষ্ট ও হৃদরোগীদের ঘরে থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

কানাডায় ভয়াবহ দাবানলের তাণ্ডব অব্যাহত রয়েছে। ইতিমধ্যে কয়েক হাজার বর্গকিলোমিটার এলাকা পুড়ে গেছে। উপদ্রুত অঞ্চলগুলো থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে অন্তত ১৭ হাজার বাসিন্দাকে। কোথাও কোথাও হেলিকপ্টারে করে উদ্ধার কাজ চালাচ্ছে সামরিক বাহিনী।

কানাডার মধ্যাঞ্চলে বিশেষ করে ম্যানিটোবা, সাসক্যাচুয়ান এবং অ্যালবার্টায় আগুনের তীব্রতা বেশি। সাসক্যাচুয়ানে দুটি বড় আগুন একীভূত হয়ে উত্তর-পূর্বাঞ্চলের প্রায় ২ হাজার ১০০ বর্গকিলোমিটার এলাকা ভস্মীভূত করেছে। ম্যানিটোবার খনিশহর ফ্লিন ফ্লনের পাঁচ হাজার বাসিন্দা সরাসরি হুমকির মুখে পড়েছেন।

দাবানলের ধোঁয়া সীমান্ত পেরিয়ে পৌঁছে গেছে যুক্তরাষ্ট্রের একাধিক রাজ্যে। মিনেসোটা, মিশিগান, ইলিনয় ও ইন্ডিয়ানার কিছু এলাকায় বাতাসের গুণমান মারাত্মকভাবে খারাপ হয়ে গেছে। এসব স্থানে ‘এয়ার কোয়ালিটি অ্যালার্ট’ জারি করেছে স্থানীয় প্রশাসন। বাসিন্দাদের অপ্রয়োজনে বাইরে না যাওয়ার এবং বিশেষ করে হৃদ্‌রোগী ও শ্বাসকষ্টের রোগীদের ঘরে থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

ডিট্রয়েট ও শিকাগো শহরে আগামী দিনগুলোতে দূষণের মাত্রা আরও বাড়তে পারে বলে সতর্ক করেছেন পরিবেশবিদেরা। বাতাসের এই দূষিত ধোঁয়া ছড়িয়ে পড়তে পারে ওয়াশিংটন ডিসি পর্যন্ত।

কানাডার ফায়ার সার্ভিস দাবানল নিয়ন্ত্রণে নিজেদের সক্ষমতা ব্যবহার করছে। পাশাপাশি অন্যান্য প্রদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের সহযোগিতা চাওয়া হয়েছে। এরই মধ্যে অ্যালাস্কা একটি এয়ার ট্যাংকার পাঠিয়েছে, কুইবেক পাঠাচ্ছে দুটি ওয়াটার বম্বার, এবং নোভা স্কোশিয়া ও প্রিন্স এডওয়ার্ড আইল্যান্ড থেকে আসছে ফায়ার ফাইটারদের দল।

আগ্নিকাণ্ডের কারণ হিসেবে পরিবেশবিদ ডন ওয়াবেলস জলবায়ু পরিবর্তনকে দায়ী করছেন। তার ভাষায়, ‘বৈশ্বিক উষ্ণতা দাবানলের ঝুঁকি বাড়িয়ে দিচ্ছে।’