
ভিসা সাক্ষাৎকার স্থগিতে উদ্বেগ বাড়ছে শিক্ষার্থীদের

টিবিএন ডেস্ক
প্রকাশিত: মে ২৯ ২০২৫, ১:৫৭
.jpg)
ছবিঃ সংগৃহীত
- 0
আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের ভিসা সাক্ষাৎকার স্থগিত করেছে ট্রাম্প প্রশাসন, এতে হতাশা ও অনিশ্চয়তা বাড়ছে ভর্তিচ্ছু ছাত্র-ছাত্রীদের। অন্যদিকে, ভিসা প্রক্রিয়ায় বড় ধরনের জট তৈরি হওয়ার আশঙ্কা করছেন বিশ্লেষকরা।
সাধারণত মে-জুন মাস থেকেই অ্যামেরিকার বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ভর্তির প্রক্রিয়া শুরু করেন, বিশ্বের নানা প্রান্তের শিক্ষার্থীরা। ঠিক এই গুরুত্বপূর্ণ সময়ে ভিসা সাক্ষাৎকার বন্ধের ঘোষণা, অ্যামেরিকায় পড়াশোনার স্বপ্নকে অনিশ্চিত করে তুলেছে, হাজারো আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীর। যারা ইতিমধ্যেই দেশের নামী বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ভর্তির প্রস্তাব পেয়েছেন, তারাও এখন বড় ধরনের বিলম্বের আশঙ্কায় ভুগছেন।
ভিসা প্রক্রিয়া নিয়ে এমন অনিশ্চয়তা শিক্ষার্থী ও তাদের পরিবারের মধ্যে দুশ্চিন্তা ও চাপ সৃষ্টি করছে। বর্তমান পরিস্থিতিতে অ্যামেরিকার স্কুলগুলোতে আবেদন করার সিদ্ধান্ত নিয়ে অনুতপ্ত হচ্ছেন কেউ কেউ। এছাড়া, নিজেদের পড়াশোনা ঠিক সময়ের মধ্যে শেষ করার ব্যাপারেও উদ্বিগ্ন অনেকেই। আশংকা করছেন, এতে করে তাদের পড়াশোনা স্থগিত হয়ে যাওয়ার পাশাপাশি, হারাতে পারেন স্কলারশিপও।
কঠিন যাচাই-বাছাইয়ের বিস্তারিত নিয়মকানুন এখনও অস্পষ্ট থাকায়, উদ্বেগ আরও বাড়ছে। নিজেদের অতীত অনলাইন কার্যকলাপ নিরীহ হলেও, আবেদন বাতিলের ভয় পাচ্ছেন, শিক্ষার্থীরা। অনেকে আবার মনে করছেন, নিজ দেশের শিক্ষাপদ্ধতি সন্তোষজনক হওয়ায়, ভিনদেশে পড়তে যাওয়ার প্রয়োজন নেই তাদের।
অন্যদিকে, পূর্ব ঘোষণা ছাড়াই হঠাৎ করে এমন সিদ্ধান্তে, সমালোচনার ঝড় উঠেছে রিপাবলিকান শিবিরেও। সাবেক জিওপি ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্সের চিফ অব স্টাফ মার্ক সর্ট দাবি করছেন, প্রথম মেয়াদের তুলনায় এখন অনেকটাই আলাদা বর্তমান ট্রাম্প প্রশাসন।
এমন পদক্ষেপের তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন উচ্চশিক্ষা সংস্থাগুলো ও বিশ্লেষকরাও। এতে করে দেশের শিক্ষার দীর্ঘমেয়াদী ক্ষতির হুঁশিয়ারি দিচ্ছেন তারা। সংবাদমাধ্যম দা অ্যাটলান্টিকের স্টাফ রাইটার, অ্যাডাম সারওয়ার মনে করছেন, আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের কাছে অ্যামেরিকার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর সুনামকে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করবে এই সিদ্ধান্তটি।
আরেক দিকে, অভিবাসী আইনজীবীরা যুক্তি দিচ্ছেন, বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ওপর বড় ধরনের আর্থিক প্রভাব পড়বে প্রশাসনের এই সিদ্ধান্তে। ন্যাশনাল অ্যাসোসিয়েশন অফ ফরেন স্টুডেন্ট অ্যাডভাইজার--নাফসার সিইও ফন্টা ও বলেন, অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ই আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের টিউশন ফির ওপর নির্ভরশীল। বিদেশী শিক্ষার্থীর সংখ্যা কমে গেলে, বাজেট ঘাটতিতে বাধাগ্রস্ত হতে পারে গবেষণা কার্যক্রম।
এছাড়া, এই নীতিগুলো কেবল ভয় ও অনিশ্চয়তার পরিবেশ তৈরি করছে তাই নয়, বরং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর উদ্ভাবন, গবেষণা এবং অর্থনৈতিক কার্যক্রমকে, আগামীতে বড় পরিসরে ক্ষতিগ্রস্ত করবে। এতে করে, দেশ ধারাবাহিক ব্রেইন ড্রেইন বা মেধা পাচারের শিকার হতে পারে।