অ্যামেরিকায় অ্যাসাইলাম আবেদনকারীকে যা জানতেই হবে

টিবিএন ডেস্ক

প্রকাশিত: আগস্ট ২৫ ২০২৫, ০:৫৫ হালনাগাদ: অক্টোবর ২৮ ২০২৫, ৩:১৪

অ্যামেরিকার পতাকা, নতুন অভিবাসীদের নির্দেশনা সংবলিত পুস্তিকা ও পাসপোর্ট। ছবি: সিএইচও ইমিগ্রেশন ল

অ্যামেরিকার পতাকা, নতুন অভিবাসীদের নির্দেশনা সংবলিত পুস্তিকা ও পাসপোর্ট। ছবি: সিএইচও ইমিগ্রেশন ল

  • 0

‘কোনো কারণে যদি উনার ফিঙ্গার প্রিন্ট অথবা ইন্টারভিউ ডেট মিস করে, তাহলে কিন্তু উনাকে সরাসরি আবার কোর্টে পাঠিয়ে দিতে পারে। অবশ্যই উনাকে অতিসত্বর উনার অ্যাপ্লিকেশনটি আপডেট করে যদি সাপোর্টিং ডকেুমেন্ট থাকে, সেটি যদি ইমিগ্রেশন অফিসে পাঠিয়ে দিতে পারে, তাহলে উনার জন্য এটা মঙ্গল হবে এবং উনার অ্যাপ্লিকেশনটি ফুলফিল থাকবে।’

অ্যামেরিকায় অনলাইনে অ্যাসাইলাম বা আশ্রয়ের আবেদন করেন অনেকে। এ ক্ষেত্রে সাপোর্টিং ডকুমেন্টস বা সহায়ক নথি প্রদান সংক্রান্ত বিষয়গুলো অবশ্যই জানতে হবে আবেদনকারীকে।

এ সংক্রান্ত একটি প্রশ্ন টিবিএন অ্যানালাইসিস অনুষ্ঠানের অতিথি অ্যাটর্নি মাহফুজুর রহমানকে করেছেন এক দর্শক। অতিথি উত্তর দিয়েছেন সে প্রশ্নের।

দর্শক: আসসালামু আলাইকুম। আমার নাম অমি। আমি নিউ ইয়র্ক থেকে বলছি। আমার একটা প্রশ্ন হচ্ছে স্যারের কাছে। আমি ২০২৪ সালের মে মাসে এখানে আসছি বর্ডার ক্রস করে ক্যানাডা থেকে। আমি ওইখানে কোনো পুলিশ বা কোনোকিছু পাইনি, যার কারণবশত আমি নিউ ইয়র্কে আসার পরে একটা লোকের মাধ্যমে অনলাইনে আবেদন করি; অ্যাসাইলাম পেপার সাবমিট করি।

এখন আমি ওইখানে ক্যানাডাতে জাস্ট যেই কথাগুলো ইমিগ্রেশনে লিখছিলাম, মানে ওইখানে সাবমিট করছিলাম, ওই পেপারটা এইখানে সাবমিট করছি। কোনো সাপোর্টিং ডকুমেন্টস এখনও দিই নাই। আর পুরো গল্পটাও এখানে সাবমিট করি নাই, বাট আমার কাছে ওয়ার্ক পারমিট, সোশ্যাল আইডি, সাথে ড্রাইভিং লাইসেন্স, এগুলো সবই হইছে আমার, কিন্তু এখন আমি শুনতেছি সাম মানুষের কাছে যে, আমি যদি তাড়াতাড়ি সাবমিট না করি, মানে পুরো গল্পটা, সাপোর্টিং ডকুমেন্টসটা যদি না সাবমিট করি, তাহলে আমার কেইসটা আপনা আপনি ক্লোজ হইয়া যাবে। স্যার, এটা কতটা সত্য, আমি এ জিনিসটা জানার জন্য আরকি মূলত ইয়ে (ফোন) করছি…আমার খুব তাড়াতাড়ি কোনো অ্যাটর্নির পরামর্শ নেওয়া উচিত?

মাহফুজুর রহমান: ধন্যবাদ উনাকে প্রশ্ন করার জন্য। কথায় আছে না, যা রটে কিছুটা হলেও বটে, কিন্তু কথা সত্য। উনি যে কথাটা শুনেছে যে, এখন যে অ্যাসাইলাম অ্যাপ্লিকেন্টরা যারা আগে আবেদন করেছে, স্টেটমেন্ট উইল বি প্রোভাইডেড লেইটার অথবা নাথিং, ওখানে জাস্ট বলল যে…অ্যাটাচ অ্যা স্টেটমেন্ট। এটা কিন্তু এখন চেঞ্জ হয়ে গিয়েছে। গত মার্চের শেষের দিকে একটা কেইস ল আসছে আপনার বোর্ড অব ইমিগ্রেশন আপিল থেকে। এটা সিএএআর, আমরা বলি যে, কার। ওই কারে ভার্জিনিয়া থেকে যে জাজ, ইমিগ্রেশনে যে আপিল জাজরা রায় দিয়েছে, এখন থেকে ৫৮৯, যেটা অ্যাসাইলাম অ্যাপ্লিকেশন, সেটি কিন্তু ওখানে চার নম্বর পার্টে যে ঘর দেওয়া আছে, প্রতিটা ঘরে একদম পরিপূর্ণভাবে সমস্ত আন্সার দিতে হবে।

যদি না থাকে, ইচ্ছা করলে ইমিগ্রেশন অফিসার অথবা জাজ সেটিকে কিন্তু অ্যাবানডন করে সাথে সাথে বাতিল করে দিতে পারে। তো উনি যে জিনিসটা শঙ্কা পাচ্ছে, আসলেও শঙ্কিত হওয়ার বিষয়।

উনি বলছে লোকের মাধ্যমে, কিন্তু লইয়ার বলেনি, কিন্তু এটা আরও উনার জন্য বিপদ হচ্ছে উনি অনলাইনে করেছে। উনার যদি ইমেইল অ্যাড্রেস থাকে, উনাকে অবশ্যই উনার অ্যাকাউন্টে ট্র্যাক করবে। উনাকে কিন্তু ফিজিক্যাল মেইল পাঠাবে না ইন্টারভিউর জন্য।

উনাকে কিন্তু অনলাইনেই ট্র্যাক করতে হবে। উনার লইয়ার নাই। লইয়ারের কাছে যাবে না চিঠি। তো সেই ক্ষেত্রে অনলাইনে চেক করে দেখতে হবে যে, কী আপডেট হচ্ছে।

কোনো কারণে যদি উনার ফিঙ্গার প্রিন্ট অথবা ইন্টারভিউ ডেট মিস করে, তাহলে কিন্তু উনাকে সরাসরি আবার কোর্টে পাঠিয়ে দিতে পারে। অবশ্যই উনাকে অতিসত্বর উনার অ্যাপ্লিকেশনটি আপডেট করে যদি সাপোর্টিং ডকেুমেন্ট থাকে, সেটি যদি ইমিগ্রেশন অফিসে পাঠিয়ে দিতে পারে, তাহলে উনার জন্য এটা মঙ্গল হবে এবং উনার অ্যাপ্লিকেশনটি ফুলফিল থাকবে।