ঘৃতকুমারীতে বাড়তে পারে ক্যান্সার ঝুঁকি

টিবিএন ডেস্ক

জুলাই ১ ২০২৩, ৪:৪১

ঘৃতকুমারী ও এর থেকে তৈরি জুস। ছবি: সংগৃহীত

ঘৃতকুমারী ও এর থেকে তৈরি জুস। ছবি: সংগৃহীত

  • 0

জুলাই মাসে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু) মানবদেহে ক্যান্সারের ঝুঁকি তৈরি করতে পারে এমন বস্তুর তালিকা হালনাগাদ করবে। এ তালিকায় কৃত্রিম চিনি অ্যাসপারটেমের পাশাপাশি জায়গা করে নিয়েছে অ্যালো ভেরা বা ঘৃতকুমারী।

দক্ষিণ এশিয়ায় আয়ুর্বেদ চিকিৎসায় বহুল ব্যবহৃত ঘৃতকুমারী এর ভেষজ ও চিকিৎসা গুণের জন্য বিখ্যাত। তবে, হু বলছে তাদের গবেষণায় উদ্ভিদটির ক্যান্সার ঝুঁকির বিষয়টি সামনে এসেছে।

একদল ইঁদুরের ওপর দুই বছর গবেষণা করে দেখা গেছে যে, যাদের পানীয় জলে ঘৃতকুমারীর পাতার নির্যাস বেশি মেশানো হয়েছে তাদের বৃহদান্ত্রের ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনা বেশি।

আরেকটি গবেষণায় দেখা গেছে যে ঘৃতকুমারীতে বিদ্যমান কিছু যৌগ রূপান্তরিত হয়ে ভিন্ন রসায়নিক যৌগে পরিণত হয় যা ডিএনএর জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। এই পরিবর্তন ইঁদুর ও মানুষ উভয়ের অন্ত্রে ক্যান্সার সৃষ্টি করতে সক্ষম।

হুর মতে এতে ক্যান্সার সৃষ্টিকারী যৌগের (কার্সিনোজেনিক) প্রমাণ রয়েছে এবং এটি তাত্ত্বিকভাবে মানুষের ক্ষেত্রেও ঘটতে পারে। হু ঘৃতকুমারীকে তাদের কার্সিনোজেনিক তালিকার টুবি শ্রেণিতে রেখেছে।

এই শ্রেণিতে জায়গা পেতে যাচ্ছে অ্যাসপারটেম। মোবাইল ফোন ও ন্যাপথালিনও এ শ্রেণির অন্তর্ভুক্ত।

শীর্ষ শ্রেণি গ্রুপ ওয়ানে আছে অ্যালকোহল ও রেডিয়েশন। টুএতে রাখা হয়েছে রেড মিট (গরু, খাসি ও শূকরের মাংস)।

টুবি শ্রেণির ক্ষেত্রে হু-এর নীতিমালায় কোনো পরিমাণের উল্লেখ নেই বা এও বলা নেই যে কতটুকুর সংস্পর্শে এলে ক্যান্সারের ঝুঁকি থাকবে।

এই শ্রেণির বিষয়ে বলা হয়েছে যে, কার্সিনোজেনিক প্রভাবের ক্ষেত্রে তালিকায় স্থান পাওয়া বস্তুগুলোর পক্ষে প্রমাণ কতটা মজবুত।


0 মন্তব্য

মন্তব্য করুন