১৯৮১ সালের ওই ধর্ষণের মামলায় ১৬ বছরের জেল হয় ব্রডওয়াটারের। সাজা খেটে ১৯৯৯ সালে মুক্ত হন তিনি।
২০২১ সালে মামলাটি ফের তদন্ত করা হয়। তাতে প্রমাণিত হয়, ব্রডওয়াটার ধর্ষণে জড়িত ছিলেন না। বিনা দোষে তিনি এত বছর সাজা খেটেছেন।
দীর্ঘ ৪ দশক পর আদালতে তিনি নির্দোষ প্রমাণিত হন। ক্ষতিপূরণ হিসেবে তাকে সাড়ে ৫ মিলিয়ন ডলার দিতে রাজি হয়েছে নিউ ইয়র্ক স্টেইট কর্তৃপক্ষ।
১৯৮১ সালে ১৮ বছর বয়সে ধর্ষণের শিকার হোন এক লেখিকা। সে সময় গ্রেপ্তার হওয়া সন্দেহভাজন ৫ কৃষ্ণাঙ্গর মধ্যে থেকে প্রকৃত অপরাধীকে তিনি শনাক্ত করতে পারেননি। তবে এর মধ্যে এন্থনিকে তিনি অপরাধী বলে মনে করেছিলেন।
এর পরিপ্রেক্ষিতেই ব্রডওয়াটারকে দোষি সাব্যস্ত করে রায় দেয় আদালত।
ব্রডওয়াটার বলছেন, শুরু থেকেই তিনি নিজেকে নির্দোষ দাবি করে আসছিলেন, তবে তা কেউই বিশ্বাস করছিল না। এ কারণে কারাভোগের পরও স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে পারছিলেন না। নানা প্রতিবন্ধকতার মুখে পরতে হচ্ছিল তাকে।
ধর্ষণের শিকার নারী এ ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করে জানিয়েছেন, কোনো পরিমাণের অর্থই ব্রডওয়াটারের সঙ্গে হওয়া অবিচারের সমতুল্য হবে না। তার অপূরণীয় ক্ষতি হয়েছে।
একজন ফেডারেল বিচারকের অনুমোদন পেলেই স্টেইট কর্তৃপক্ষের দেয়া ক্ষতিপূরণের টাকা হাতে পাবেন ব্রডওয়াটার। সেই অর্থ দিয়ে একটি ফার্ম খোলার স্বপ্ন দেখছেন তিনি।