হাউযে কট্টর রিপাবলিকানদের তোপের মুখে থাকা ম্যাকার্থির এই বক্তব্য বদল তার ওপর বাড়তে থাকা চাপকেই ফুটিয়ে তুলেছে।
সম্প্রতি ঋণসীমা চুক্তিতে প্রেসিডেন্ট বাইডেনের সঙ্গে একমত হওয়ার পর থেকে হাউয রিপাবলিকানদের অনেকে ম্যাকার্থির উপর ক্ষুব্ধ ছিলেন। তাকে স্পিকারের পদ থেকে সরিয়ে দেয়ার হুমকিও দেন কেউ কেউ।
কোনো রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট প্রার্থীকে এখনও প্রকাশ্যে তিনি সমর্থন দেননি। এসব কারণে লাল শিবিরে তার বিরুদ্ধে নানা অসন্তোষ রয়েছে। এর মধ্যে মঙ্গলবারের ঘটনায় ফের ট্রাম্পপন্থিদের সমালোচনায় পড়েন তিনি।
সিএনবিসিতে দেয়া সাক্ষাৎকারে ম্যাকার্থি জানান, নানা আইনি ঝামেলায় জর্জরিত সাবেক প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প হয়ত এখন রিপাবলিকান পার্টি থেকে নির্বাচন করার মতো সঠিক প্রার্থী নন।
স্পিকার বলেন, ‘তিনি (ট্রাম্প) কি নির্বাচন জিততে পারবেন? হয়ত পারবেন… তবে প্রশ্ন হলো, তিনি কি এখন নির্বাচন জেতার মতো শক্তিশালী প্রার্থী? এর উত্তর আমার জানা নেই।’
এক কয়েক ঘণ্টা পর নিজ থেকেই ডানপন্থি সংবাদমাধ্যম ব্রেইটবার্ট নিউজের সঙ্গে যোগাযোগ করে সাক্ষাৎকার দিতে চান তিনি।
সেখানে বলেন, ‘ট্রাম্প এবার ২০১৬ সালের চেয়েও বেশি শক্তিশালী। সংবাদমাধ্যমগুলো ট্রাম্প ও হাউয রিপাবলিকানদের মধ্যে ফাটল তৈরির চেষ্টা করছে।’
তিনি পরে লিখিত বক্তব্য দিয়ে বলেন, ‘ট্রাম্পের বিরুদ্ধে বাইডেন যে ফেডারেল সরকারকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করছে, তার একমাত্র কারণ হলো ট্রাম্পই তার সবচেয়ে শক্তিশালী প্রতিদ্বন্দ্বী। বিভিন্ন জরিপে তাই দেখা যাচ্ছে।’
ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠজনদের বিশ্বাস, ম্যাকার্থিকে স্পিকারশিপ পাইয়ে দিতে সাহায্য করেছিলেন সাবেক প্রেসিডেন্ট। কয়েক দফা স্পিকারের ভোটে হারতে হয়েছিল তাকে। এরপর হাউয রিপাবলিকানদেরকে ম্যাকার্থির পক্ষে ভোট দিতে অনুরোধ জানান ট্রাম্প। অবশেষে ১৫তম ব্যালটে গিয়ে স্পিকারশিপ পান তিনি।
সেই ট্রাম্পের প্রার্থিতা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করায় ম্যাকার্থির উপর চটেছেন ট্রাম্পের মিত্ররা। এমনই একজন নাম প্রকাশ না করার শর্তে সিএনএনকে বলেন, ‘তার ওই বক্তব্যে সবাই নাখোশ। তিনি কী ভেবে এসব বললেন?’
স্পিকার জানেন, ট্রাম্পকে খেপালে হাউযে তার অবস্থানও ঝুঁকিতে পড়বে। লাল শিবিরে জনপ্রিয় ট্রাম্প চাইলেই হাউযের কট্টর ডানপন্থিদের ম্যাকার্থির নেতৃত্ব অস্বীকার করতে উৎসাহ দিতে পারেন।
এ কারণে যখনই ট্রাম্প বিপাকে পড়েছেন, তখনই তার পক্ষে কথা বলেছেন ম্যাকার্থি।
গোপন সূত্রের বরাতে নিউ ইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মঙ্গলবার ট্রাম্পকে তিনবার ফোন করেছেন ম্যাকার্থি। তার কাছে ক্ষমা চেয়েছেন।