বিমান বিধ্বস্তে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ২৭, চিকিৎসাধীন ৭৮

বাসস

প্রকাশিত: জুলাই ২২ ২০২৫, ৬:২১ হালনাগাদ: ডিসেম্বর ৯ ২০২৫, ২১:১১

বিধ্বস্ত বিমান। ছবি: জুম বাংলা

বিধ্বস্ত বিমান। ছবি: জুম বাংলা

  • 0

বিমান বাহিনীর পাইলটের মরদেহ এখনও মর্গে রাখা আছে বলে জানা গেছে।

রাজধানীর দিয়াবাড়িতে বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর একটি প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৭ জনে। বর্তমানে বিভিন্ন হাসপাতালে আরো ৭৮ জন আহত চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তাদের মধ্যে অনেকের অবস্থা আশঙ্কাজনক।

জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে মঙ্গলবার সকালে এ তথ্য জানান স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বিশেষ সহকারী অধ্যাপক ডা. সায়েদুর রহমান।

তিনি বলেন, সারারাত হাসপাতালে চিকিৎসকরা অক্লান্ত পরিশ্রম করে আহতদের সেবা দিয়েছেন। তারপরও অনেক প্রাণ ঝরে গেছে। বর্তমানে ৭৮ জন বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এর মধ্যে জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটে ৪২ জন, সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) ২৮ জন এবং ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ৩ জন ভর্তি আছেন।

তিনি আরো জানান, এই ঘটনায় এখন পর্যন্ত বার্ন ইনস্টিটিউটে ১০ জন, সিএমএইচ-এ ১৫ জন, ঢাকা মেডিকেলে ১ জন এবং ইউনাইটেড হাসপাতালে ১ জনসহ মোট ২৭ জন প্রাণ হারিয়েছেন। এছাড়া উত্তরা আধুনিক হাসপাতালে একটি দেহাবশেষ রয়েছে। তবে সেটি কোন ব্যক্তির মরদেহ নাকি অন্য কোনো মরদেহের অংশ তা এখনো নিশ্চিত করা যায়নি।

নিহত ২৭ জনের মধ্যে ২৫ জনই শিশু, একজন স্কুলশিক্ষিকা এবং একজন বিমান বাহিনীর পাইলট বলেও জানান তিনি।

অধ্যাপক ডা. সায়েদুর বলেন, ২৭টি লাশের মধ্যে ২০টি লাশ ইতোমধ্যে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। অবশিষ্ট ৬টি লাশ এবং উত্তরা আধুনিক হাসপাতালে থাকা দেহাবশেষটি এখনো শনাক্ত করা যায়নি। সেগুলোর ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে।

তিনি জানান, আহত ৭৮ জনের কেস সামারি সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। সেখানকার চিকিৎসকরা এগুলো পর্যালোচনা করছেন। যদি তারা মনে করেন কাউকে সেখানে পাঠানো প্রয়োজন, তাহলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এ সময় তিনি দগ্ধ শিশুদের জন্য সবার কাছে দোয়া চান এবং হাসপাতালে অতিরিক্ত ভিড় না করার অনুরোধ জানান স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বিশেষ সহকারী।

তিনি জানান, রক্তের পর্যাপ্ত ডোনার রয়েছে। তবে নেগেটিভ গ্রুপের কিছু রক্তের প্রয়োজন হতে পারে।