নির্বাচনে বেশির ভাগ আসন জিতেছে সংস্কারবাদী বিরোধী দলগুলো।
থাইল্যান্ড পার্লামেন্টের নিয়ম অনুযায়ী, সামরিক বাহিনী নিযুক্ত সেনেটের ২৫০ সদস্য ভোট দিয়ে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচন করেন। ফলে বিজয়ী দলগুলো পরবর্তী সরকার গঠন করতে পারবে কি-না তা নিয়ে রয়েছে অনিশ্চয়তা।
এজন্য নতুন সরকার প্রতিষ্ঠায় এমএফপি, ফেউ থাই-এর প্রয়োজন ছোট দলগুলোর সমর্থন।
ভোট গণনা শেষে ধারণা করা হচ্ছে, প্রগতিশীল মুভ ফরওয়ার্ড পার্টি (এমএফপি) এবং পপুলিস্ট ফেউ থাই পার্টি ৫০০ সদস্যের প্রতিনিধি পরিষদের প্রায় ২৮৬টি আসন জিতবে।
এর আগে রোববার নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রাথমিক ফলাফলে দেখা যায়, ভোটে সবচেয়ে এগিয়ে ছিল এমএফপি। ৯৯ শতাংশ ভোট গণনায় নিম্নকক্ষের মোট ১৪৭টি আসন নিয়ে এগিয়ে ছিল দলটি। এর মধ্যে ৪০০টি আসন থেকে ১১২টি সরাসরি নির্বাচিত এবং দলগুলোর জন্য বরাদ্দ থাকা বাকি ১০০টি আসনের মধ্যে রয়েছে ৩৫টি।
নির্বাচনের আগের জরিপগুলোতে শিনাওয়াত্রা পরিবারের সঙ্গে সম্পৃক্ত ফেউ থাইকে এগিয়ে রাখা হয়েছিল; ২০০১ সাল থেকে প্রতিটি নির্বাচনে জিতে এসেছে দলটি।
বিশ্লেষকরা এমএফপি-এর ফলাফলকে ‘অসামান্য’ হিসেবে দেখছেন। সবশেষ ফলাফল অনুযায়ী, মোট ১৩৮টি আসনে জয়লাভ করেছে ফেউ থাই। এর মধ্যে ১১২টি সরাসরি নির্বাচিত এবং ২৭টি দলীয়।
প্রধানমন্ত্রী প্রায়ুথ চান-ওচার ইউনাইটেড থাই নেশন পার্টি ৩৬টি আসন নিয়ে পঞ্চম স্থানে রয়েছে। তার সাবেক দল, পালং প্রচারথ, প্রায় ৪০টি আসন নিয়ে রয়েছে চতুর্থ অবস্থানে।
তৃতীয় স্থানে আছে ভুমজাইথাই পার্টি, যেটি থাইল্যান্ডে গাঁজা বৈধ করার প্রচারণায় নেতৃত্ব দিয়েছে। বর্তমান ক্ষমতাসীন জোটের অংশ ভুমজাইথাই প্রায় ৭০টি আসন জিতবে বলে ধারণা করা হয়েছিল।
পূর্ব থাইল্যান্ডের উবন রাতচাথানি ইউনিভার্সিটির রাষ্ট্রবিজ্ঞানের অধ্যাপক টিটিপল ফাকদেওয়ানিচ আল জাজিরাকে জানান, মুভ ফরওয়ার্ড পার্টির বিজয় থাইল্যান্ডের জন্য একটি বড় টার্নিং পয়েন্ট নিয়ে আসবে। দেশের বেশিরভাগ মানুষ এখন পরিবর্তন চায়। আমরা ভোটারদের শক্তি দেখতে পাচ্ছি, পরিবর্তনের জন্য তারা কঠোর লড়াই করলেন এবার।