পাকিস্তানের একটি উচ্চ নিরাপত্তা জেল থেকে রুদ্ধশ্বাস নাটকের মধ্য দিয়ে পালিয়ে গেছে ২১৩ জন কয়েদি, যার মধ্যে কয়েকজন ছিলো কুখ্যাত সন্ত্রাসী ও খুনি। দেশজুড়ে নিরাপত্তা বাহিনী ব্যাপক অভিযান চালাচ্ছে পালিয়ে যাওয়া আসামিদের ধরতে।
পুলিশ ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, রবিবার রাতে খাইবার পাখতুনখোয়ার একটি কেন্দ্রীয় কারাগারে সশস্ত্র হামলার পর এই পালানোর ঘটনা ঘটে। মুখোশধারী সন্ত্রাসীরা গেট ভেঙে কারাগারে প্রবেশ করে। কয়েক মিনিটের ভেতরেই কয়েদিদের একটি বড় অংশ পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়।
জেলার পুলিশ প্রধান মিরাজ খান জানান, ‘আমরা ইতোমধ্যেই আশেপাশের এলাকায় চেকপোস্ট বসিয়েছি এবং গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর সহায়তায় ২৪ ঘণ্টার অভিযান চলছে। পালিয়ে যাওয়া কয়েদিদের মধ্যে অন্তত ২০ জন জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকি।’
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, হামলার সময় ভারী অস্ত্রের শব্দ শোনা যায় এবং পুরো এলাকা আতঙ্কে ছেয়ে যায়। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা গেছে, কয়েদিরা প্রাচীর টপকে পালাচ্ছে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এ বিষয়ে জরুরি সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘এটি শুধুমাত্র একটি নিরাপত্তা ব্যর্থতা নয়, বরং একটি সংগঠিত সন্ত্রাসী হামলা। জড়িতদের দ্রুত বিচারের আওতায় আনা হবে।’
এই ঘটনার পর, দেশের অন্যান্য কারাগারগুলোতেও সতর্কতা জারি করা হয়েছে। সেনাবাহিনীকে প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে যেকোনো প্রয়োজনে সহায়তার জন্য।
জনগণের মধ্যে আতঙ্ক ছড়ালেও পুলিশ আশ্বস্ত করেছে যে, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। পালিয়ে যাওয়া কয়েদিদের ধরতে রাতদিন অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।