পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি স্তরের কাছাকাছি ইউরেনিয়ামের মজুদ বাড়িয়েছে ইরান

টিবিএন ডেস্ক

মে ২৭ ২০২৪, ২৩:০৫

প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

  • 0

ইরান তার সমন্বিত ইউরেনিয়ামের মজুদ আরও বাড়িয়ে পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি স্তরের কাছাকাছি নিয়ে এসেছে বলে এক গোপন প্রতিবেদনে জানিয়েছে জাতিসংঘের পরমাণু পর্যবেক্ষণ সংস্থা (আইএইএ)।

এবিসি নিউজ জানায়, বার্তা সংস্থা এপি সোমবার পরমাণু কর্মসূচী নিয়ন্ত্রণে জাতিসংঘের একমাত্র সংস্থাটির দাখিল করা প্রতিবেদনের বরাতে এ তথ্য নিশ্চিত করে।

ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ১১ মে পর্যন্ত ইরান ১৪২.১ কিলোগ্রাম ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ করেছে। জাতিসংঘের পর্যবেক্ষক সংস্থার ফেব্রুয়ারিতে দেয়া সর্বশেষ প্রতিবেদনের ২০.৬ কিলোগ্রাম ইউরেনিয়ামের মজুদ থেকে এই পরিমাণ ৬০ শতাংশ বেশি।

সংস্থাটি জানায়, ৬০ শতাংশ সমৃদ্ধ ইউরেনিয়াম অস্ত্র তৈরির জন্য প্রয়োজনীয় ৯০ শতাংশ গ্রেডের থেকে প্রযুক্তিগতভাবে সামান্য দূরে।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, ১১ মে পর্যন্ত ইরানের সমৃদ্ধ ইউরেনিয়ামের সামগ্রিক মজুদ দাঁড়িয়েছে ৬,২০১.৩ কিলোগ্রাম।

জাতিসংঘের পরমাণু নিয়ন্ত্রক সংস্থাটির সংজ্ঞায় বলা হয়েছে, প্রায় ৪২ কিলোগ্রাম ইউরেনিয়াম ৬০ শতাংশ থেকে ৯০ শতাংশে সমৃদ্ধ করা হলে একটি পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি করা তাত্ত্বিকভাবে সম্ভব।

আইএইএ প্রধান রাফায়েল মারিয়ানো গ্রোসি আগেই সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন যে তেহরানের কাছে বেশ কয়েকটি পারমাণবিক বোমা তৈরি করার জন্য পর্যাপ্ত ইউরেনিয়াম আছে।

ইরান অবশ্য বারবার বলছে, তাদের পারমাণবিক কর্মসূচী শুধুমাত্র শান্তিপূর্ণ উদ্দেশ্যে, অস্ত্র তৈরির জন্য নয়।

জাতিসংঘের পারমাণবিক কর্মসূচী নিয়ন্ত্রক সংস্থার প্রতিবেদনটি এমন সময় আসল যখন চলমান ইযরায়েল-হামাস যুদ্ধকে কেন্দ্র করে বৃহত্তর মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনা চরমে।

ইযরায়েল ও ইরান গত মাসে প্রথমবারের মতো একে অপরের ভূখণ্ডে সরাসরি রকেট হামলা চালিয়েছে।

সাম্প্রতিক কয়েক বছর ধরে ইরান তার পারমাণবিক কর্মসূচি কমিয়ে দেয়ার বিনিময়ে দেশটির ওপর আরোপিত অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা তুলে নিতে চাইছে।

এই পরমাণু কর্মসূচি দেশটির সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনির সরাসরি নির্দেশনায় রয়েছে। গত সপ্তাহের হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় নিহত প্রেসিডেন্ট রাইসির মৃত্যুতেও এ কর্মসূচি পরিবর্তন হবে না বলে স্পষ্ট জানিয়ে দেয়া হয়েছে।

সোমবারের প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, তেহরান তার পরমাণু কর্মসূচির নিরীক্ষণ থেকে আইএইএ পরিদর্শকদের বাধা দেয়ার সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করেনি।

আইএইএ ইরানের তার পরমাণু কর্মসূচী যাচাইকরণের কার্যক্রম কার্যকরভাবে পরিচালনা করার অনুমতি দেয়া অপরিহার্য বলেও সোমবারের প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে।

তবে, ওই প্রতিবেদনে আইএইএ স্বীকার করছে যে ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমিরাবদুল্লাহিয়ানের মৃত্যু তেহরানের সঙ্গে সংস্থাটির আলোচনায় স্থবিরতা সৃষ্টি করেছে।


0 মন্তব্য

মন্তব্য করুন