সিরিয়া সফরে ইরাকের প্রধানমন্ত্রী সুদানি

টিবিএন ডেস্ক

জুলাই ১৬ ২০২৩, ২০:২১

সিরিয়া সফরে ইরাকের প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ শিয়া আল-সুদানি। কার্টেসি ফটো

সিরিয়া সফরে ইরাকের প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ শিয়া আল-সুদানি। কার্টেসি ফটো

  • 0

সিরিয়ায় ২০১১ সালে যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর প্রথম কোনো ইরাকি প্রধানমন্ত্রী হিসেবে রোববার সিরিয়া সফরে গেছেন মোহাম্মদ শিয়া আল-সুদানি। রাষ্ট্রীয় এ সফরের অন্যতম উদ্দেশ্য ইরাক-সিরিয়া সীমান্তে সুরক্ষা নিশ্চিত এবং দুদেশের অর্থনৈতিক সম্পর্ক জোরদার করা।

ইরাকি প্রধানমন্ত্রীর পররাষ্ট্র বিষয়ক উপদেষ্টা ফরহাদ আলাদিন জানান, সুদানি এ সফরে মাদকের (বিশেষ করে অ্যামফিটামিন ক্যাপ্টাগন) চোরাচালন বন্ধে আলোচনা করবেন; সেইসঙ্গে দুদেশের মধ্যে প্রায় ৩৭৩ মাইল সীমান্ত দিয়ে ইসলামিক স্টেইট জঙ্গিদের অনুপ্রবেশ ঠেকাতে আলোচনা করবেন।

এছাড়া দুদেশের মধ্যে বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক সহযোগিতা এবং ভূমধ্যসাগরে একটি তেল রফতানি পাইপলাইন ফের চালুর সম্ভাবনা নিয়েও আলোচনা করবেন সুদানি।

সৌদি আরবসহ অন্যান্য দেশগুলো বছরের পর বছর উত্তেজনার পর সিরিয়ার সঙ্গে সম্পর্ক পুনঃনির্মাণের চেষ্টা চালাচ্ছে। সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের দমন-পীড়নের জন্য সিরিয়াকে ২০১১ সালে আরব লিগ থেকে বাদ দেয়া হয়। বেশ কয়েকটি গালফ স্টেইটও প্রেসিডেন্ট আসাদের সশস্ত্র বিরোধীদের সমর্থন করছে। তবে আসাদ রাশিয়া এবং ইরানের সামরিক ও অর্থনৈতিক সহায়তায় সিরিয়ার বেশিরভাগ অঞ্চল পুনরুদ্ধার করেছেন।

ইরাক এবং সিরিয়া দুদেশের সঙ্গেই মধ্যপ্রাচ্যের আঞ্চলিক হেভিওয়েট ইরানের ঘনিষ্ঠ অর্থনৈতিক, সামরিক এবং রাজনৈতিক সম্পর্ক রয়েছে। বাগদাদ ও দামেস্ক ইরান সমর্থিত শিয়া সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর সঙ্গে মিলে জঙ্গি গোষ্ঠী ইসলামিক স্টেইটের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সহযোগিতা করেছিল।

সিরিয়াকে মে মাসে আরব লিগে ফের অন্তর্ভুক্ত করা হয়। আঞ্চলিক দেশগুলো মাদক চোরাচালান বন্ধে এবং লক্ষ লক্ষ শরণার্থীকে সিরিয়ায় ফিরিয়ে দিতে আসাদের সঙ্গে আলোচনার চেষ্টা করছে।

এদিকে জর্ডান এবং ইরাকের সঙ্গে সীমান্ত দিয়ে মাদক পাচার বন্ধে সহায়তা করতে সম্মত হয়েছে সিরিয়া।

মাদক বাণিজ্যের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে সিরিয়ার শীর্ষ কর্মকর্তা এবং আসাদের আত্মীয়রা সাম্প্রতিক সময়ে অ্যামেরিকা, বৃটেইন এবং ইউরোপিয়ান ইউনিয়নে নিষেধাজ্ঞার তালিকায় আছেন।


0 মন্তব্য

মন্তব্য করুন