গাজা উপত্যকায় অব্যাহত হামলার মধ্যে ইসরায়েলের প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থনের প্রতিবাদ হিসেবে মঙ্গলবার অ্যামেরিকার সেক্রেটারি অব স্টেইট মার্কো রুবিওর সিনেট শুনানি বাধাগ্রস্ত করেছেন বিক্ষোভকারীরা।
তুরস্কের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা আনাদোলু জানায়, ২০২৬ অর্থবছরের জন্য স্টেইট ডিপার্টমেন্টের প্রস্তাবিত বাজেট নিয়ে রুবিও সিনেটের ফরেন রিলেশন্স অ্যান্ড অ্যাপ্রোপ্রিয়েশন্স কমিটির সামনে বক্তব্য দেওয়ার সময় দুজন অ্যাকটিভিস্ট যুক্তরাষ্ট্রের নীতির সমালোচনা করে স্লোগান দিয়ে তাকে থামিয়ে দেন।
পরে নিরাপত্তারক্ষীরা দুজনকেই কক্ষ থেকে সরিয়ে দেন।
রুবিও শুনানিকক্ষে প্রবেশ করার আগেও প্রতিবাদকারীরা বিক্ষোভ করেন।
সেক্রেটারি অব স্টেইট শুনানিকক্ষে প্রবেশের সময় শান্তি ও মানবাধিকারবিষয়ক সংগঠন কোডপিংকের সঙ্গে যুক্ত বিক্ষোভকারীরা ‘গণহত্যা বন্ধ করো’, ‘ইসরায়েলের ওপর নিষেধাজ্ঞা দাও’ এবং ‘শিশুদের খেতে দাও!’ স্লোগান দেন।
এর আগে সিনেটের ফরেন রিলেশন্স অ্যান্ড অ্যাপ্রোপ্রিয়েশন্স কমিটির চেয়ারম্যান জিম রিশ স্পষ্ট করে জানান, কোনো ধরনের ব্যাঘাত বরদাশত করা হবে না।
তিনি সতর্ক করে জানান, আইনপ্রণেতাদের সামনে কেউ বিক্ষোভ করলে তাকে হেফাজতে নেওয়া হবে এবং এক বছরের জন্য নিষিদ্ধ করা হবে।
এ প্রতিবাদ এমন সময় হলো, যখন ইসরায়েলকে সামরিক সহায়তা দেওয়ায় অ্যামেরিকার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক মহলে সমালোচনা ক্রমেই তীব্র হচ্ছে।
গাজায় ২০২৩ সালের অক্টোবরে হামলা শুরু করার পর থেকে ইসরায়েলি বাহিনী অন্তত ৫৩ হাজার ৫০০ ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে, যাদের অধিকাংশই নারী ও শিশু।
যুদ্ধবিরতির আন্তর্জাতিক আহ্বান সত্ত্বেও এ আক্রমণ থামেনি।
গত নভেম্বরে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি) গাজায় যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধের জন্য ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু ও সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োয়াভ গালান্তের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে।
গাজায় যুদ্ধ পরিচালনার জন্য ইসরায়েলের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে (আইসিজে) গণহত্যার মামলা চলছে।