জ্যাকসনের মৃত্যুর পর ২০১৩ সালে ওয়েড রবসন এবং ২০১৪ সালে জেমস সেফচাক তার বিরুদ্ধে যৌন নিপীড়নের অভিযোগে মামলা করেন।
দুজনেরই অভিযোগ, শিশুবয়সে তাদেরকে জ্যাকসন যৌন নির্যাতন করেছিলেন। তাদের অভিযোগের ওপর ভিত্তি করে ২০১৯ সালে এইচবিও ‘লিভিং নেভারল্যান্ড’ নামে একটি ডকুমেন্টরি প্রচার করে।
৪০ বছর বয়সী কোরিওগ্রাফার রবসনের অভিযোগ, পাঁচ বছর বয়সে তিনি জ্যাকসনের সঙ্গে দেখা করেছিলেন। চেয়েছিলেন জ্যাকসন লেবেলে গান রেকর্ড করতে এবং মিউজিক ভিডিওতেও অংশ নিতে।
মামলার অভিযোগ অনুযায়ী, জ্যাকসনের কর্মচারী ছিলেন রবসন। সেসময় তার কাছে সাত বছর ধরে শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতিত হন।
অন্যদিকে ৪৫ বছর বয়সী সেফচাক মামলায় বলেছেন, তিনি নয় বছর বয়সে পেপসির একটি বিজ্ঞাপনে চিত্রায়নের সময় জ্যাকসনের সঙ্গে দেখা করেছিলেন। জ্যাকসন তাকে প্রায়ই ডেকে নিয়ে শ্লীলতাহানি করতেন। এর আগে দামি সব উপহার দিতেন।
এমজেজে প্রোডাকশন ইনকর্পোরেটেড ও এমজেজে ভেঞ্চারস ইনক দুটি কর্পোরেশনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন রবসন ও সেফচাক। এই দুই প্রতিষ্ঠানের মালিক ও শেয়ারহোল্ডার ছিলেন জ্যাকসন।
এর আগে সুপিরিয়র কোর্টের বিচারক মার্ক এ. ইয়ং ২০২১ সালে মামলা দুটি খারিজ করে দেন। তবে গত মাসে ক্যালিফোর্নিয়ার সেকেন্ড ডিস্ট্রিক্ট কোর্ট অফ আপিল মামলা দুটি বিচারের প্রক্রিয়ায় পাঠানোর রুল জারি করে।