নিহত কমপক্ষে ২০
দ্বিতীয় দিনের মতো ব্যাপক গোলাগুলি থাইল্যান্ড-কম্বোডিয়ার

টিবিএন ডেস্ক

প্রকাশিত: জুলাই ২৫ ২০২৫, ১৯:১৭ হালনাগাদ: অক্টোবর ২৮ ২০২৫, ১১:২৫

এক দশকের বেশি সময়ের মধ্যে সবচেয়ে মারাত্মক সংঘাতের দ্বিতীয় দিন শুক্রবার বিতর্কিত তা মোয়ান থম মন্দির থেকে প্রায় ৪০ কিলোমিটার দূরের একটি এলাকায় বিএম-২১ গ্রেডের মাল্টিপল রকেট লঞ্চারে কম্বোডিয়ার সামরিক বাহিনীর এক সদস্য। ছবি: রয়টার্স

এক দশকের বেশি সময়ের মধ্যে সবচেয়ে মারাত্মক সংঘাতের দ্বিতীয় দিন শুক্রবার বিতর্কিত তা মোয়ান থম মন্দির থেকে প্রায় ৪০ কিলোমিটার দূরের একটি এলাকায় বিএম-২১ গ্রেডের মাল্টিপল রকেট লঞ্চারে কম্বোডিয়ার সামরিক বাহিনীর এক সদস্য। ছবি: রয়টার্স

  • 0

সংঘাত শুরুর জন্য দুই পক্ষই পরস্পরকে দায়ী করেছে। শুক্রবার দেশ দুটি বাকযুদ্ধ বাড়িয়েছে।

সীমান্তে লড়াই জোরদার ও বিস্তৃত হওয়ার মধ্যে শুক্রবার দ্বিতীয় দিনের মতো ব্যাপক গোলাগুলি করেছে থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়া।

রয়টার্স জানায়, দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার প্রতিবেশী দুই রাষ্ট্রের মধ্যে ১৩ বছরের মধ্যে সবচেয়ে মারাত্মক প্রাণঘাতী সংঘাতে কমপক্ষে ২০ জন নিহত হন। এ ছাড়া ঘরবাড়ি ছাড়েন এক লাখ ৩০ হাজারের বেশি মানুষ।

বার্তা সংস্থাটির প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, সংঘাত শুরুর জন্য দুই পক্ষই পরস্পরকে দায়ী করেছে। শুক্রবার দেশ দুটি বাকযুদ্ধ বাড়িয়েছে।

কম্বোডিয়ার বিরুদ্ধে ইচ্ছাকৃতভাবে বেসামরিক নাগরিকদের ওপর হামলার অভিযোগ করেছে থাইল্যান্ড। অন্যদিকে বিতর্কিত ও ব্যাপকভাবে সমালোচিত গুচ্ছ বোমা ব্যবহারের জন্য থাইল্যান্ডের সমালোচনা করেছে কম্বোডিয়া।

যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব

থাইল্যান্ডের ভারপ্রাপ্ত প্রধানমন্ত্রী ফুমতাম উইচায়াচাই জানান, কম্বোডিয়া কয়েকটি দিক থেকে হামলা চালিয়েছে।

তিনি সাংবাদিকদের জানান, পরিস্থিতি গুরুতর হয়েছে এবং এটি যুদ্ধাবস্থায় যেতে পারে। বর্তমানে ভারী অস্ত্র দিয়ে সংঘাত চলছে।

কম্বোডিয়ার প্রধানমন্ত্রী হুন মানেত সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক পোস্টে জানান, মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী ও আঞ্চলিক জোট আসিয়ান চেয়ারম্যান আনোয়ার ইব্রাহিমের দেওয়া যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে তিনি সম্মত হয়েছেন। এ প্রস্তাবে ফুমতামও রাজি হয়েছেন বলে আনোয়ার জানিয়েছেন তাকে।

হুন মানেত আরও বলেন, পরিতাপের বিষয় হলো মাত্র এক ঘণ্টার বেশি সময় পর থাইল্যান্ডের পক্ষ থেকে অবস্থান পরিবর্তনের কথা জানানো হয়।

থাইল্যান্ড শুক্রবার রাতে জানায়, দেশটি যুদ্ধবিরতির বিষয়ে নীতিগতভাবে সম্মত হয়েছে এবং তারা বিষয়টি বিবেচনা করে দেখবে, তবে এটি অবশ্যই হতে হবে মাঠের বাস্তবতার সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ।