ফুরিয়ে আসছে অক্সিজেন, নিখোঁজ সাবমেরিনে পাকিস্তানিসহ আরোহী ৫

টিবিএন ডেস্ক

জুন ২০ ২০২৩, ১৯:২৮

পাকিস্তানি অভিযাত্রী শাহজাদা দাউদ (বাঁয়ে উপরে), বৃটিশ নাগরিক হ্যামিশ হার্ডিং এবং নিখোঁজ সাবমেরিন টাইটান। ছবি কোলাজ: টিবিএন

পাকিস্তানি অভিযাত্রী শাহজাদা দাউদ (বাঁয়ে উপরে), বৃটিশ নাগরিক হ্যামিশ হার্ডিং এবং নিখোঁজ সাবমেরিন টাইটান। ছবি কোলাজ: টিবিএন

  • 0

টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষ দেখাতে যাওয়া পর্যটকবাহী টাইটান নামের সাবমেরিনটিতে বৃটিশ একজন অভিযাত্রী, একজন ফ্রেঞ্চ ডুবুরি, পাকিস্তানি বাবা-ছেলে, এক চালকসহ মোট পাঁচ আরোহী ছিলেন।

যাত্রা শুরুর এক ঘণ্টা ৪৫ মিনিট পর রোববার সকালে সাবমেরিনটি স্থলের সঙ্গে যোগাযোগ হারিয়ে ফেলে। এতে ৯৬ ঘণ্টার অক্সিজেনের জোগান রয়েছে। আগামী তিন দিনের মধ্যে সেটি উদ্ধার না করা না গেলে আরোহীদের কেউ জীবিত থাকবেন না।

সাবমেরিনের আরোহী পাকিস্তানি ধনাঢ্য ব্যক্তির নাম শাহজাদা দাউদ। ৪৮ বছরবয়সী শাহজাদার ১৯ বছর বয়সী ছেলে সুলেইমান দাউদও অভিযানে সঙ্গী হয়েছেন। ওশানগেট কোম্পানির সাবমরিনটিতে আরও আছেন ব্রিটিশ মিলিওনেয়ার হ্যামিশ হার্ডিং। এছাড়া, ৭৭ বছর বয়সী ফ্রেঞ্চ এক্সপ্লোরার পল-হেনরি নারজোলেট এবারের মিশনে যোগ দিয়েছেন। নারজোলেট ফ্রেঞ্চ নেভির সাবেক কর্মকর্তাও ডাইভার ছিলেন।

সাবমেরিনটির চালক হিসেবে আছেন ওশানগেটের প্রধান নির্বাহী স্কটনরাশ। যাত্রা শুরু করার মাত্র পৌনে দুই ঘণ্টা পরেই মাদার ভেসেলের সঙ্গে সাবমেরিনটির যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।

অ্যামেরিকান কোস্ট গার্ড মঙ্গলবার জানিয়েছে, কানাডার নিউফাউল্যান্ড উপকূলে ডুব দেয়ার এক ঘণ্টা ৪৫ মিনিট পর রোববার সকালে সাবমেরিনটি স্থলের সঙ্গে যোগাযোগ হারিয়ে ফেলে। এতে ৯৬ ঘণ্টার অক্সিজেনের জোগান রয়েছে। আগামী তিন দিনের মধ্যে সেটি উদ্ধার না করা না গেলে আরোহীদের কেউ জীবিত থাকবেন না।

বৃটেইনের মিনিস্ট্রি অফ ডিফেন্সের একজন মুখপাত্র জানিয়েছে, সাবমেরিনটি ন্যাটো সাবমেরিন রেসকিউ সিস্টেমের (এনএসআরএস) আওতার চেয়ে অনেক বেশি গভীরে আছে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

অবসরপ্রাপ্ত ক্যাপ্টেন ডেভিড মারকুয়েট বলেন, ‘এসব উদ্ধার অভিযান অনেক জটিল, কারণ টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষ পর্যন্ত পৌঁছাতে পারে এমন ডুবোজাহাজ অ্যামেরিকা বা কানাডা কারোর নেই।’

সাবমেরিনের অবস্থান অনেক গভীরে হওয়ায় উদ্ধার কাজ সহজ হবে না বলে কর্মকর্তাদের ধারণা।


0 মন্তব্য

মন্তব্য করুন