অ্যামেরিকান কর্মকর্তারা বলছেন, ছড়িয়ে পড়া স্ক্রিনশটগুলো ইউক্রেন যুদ্ধ সংক্রান্ত পেন্টাগনের কিছু গোয়েন্দা স্লাইডের। তবে এগুলোর কিছু জায়গায় সম্পাদনা করা হয়েছে।
এক বিবৃতিতে পেন্টাগনের ডেপুটি প্রেস সেক্রেটারি সাবরিনা সিং বলেন, ‘আমরা ছড়িয়ে পড়া ছবিগুলোর ব্যাপারে ইতোমধ্যে জেনেছি। ডিফেন্স ডিপার্টমেন্ট এ ঘটনার তদন্ত করছে।’
ইউক্রেন প্রেসিডেন্ট ভ্লাডিমির যেলেন্সকির মুখপাত্র মিখাইলো পোডোলিয়াক তার টেলিগ্রাম চ্যানেলে বলেন, ‘এ ঘটনার পেছনে রাশিয়ার চক্রান্ত থাকতে পারে। কল্পিত এসব নথির সঙ্গে ইউক্রেনের যুদ্ধ পরিকল্পনার কোনো সম্পর্ক নেই।’
রাশিয়ান টেলিগ্রাম চ্যানেলে ছড়িয়ে পড়া একটি ছবির টাইটেল ‘ইউএস, অ্যালাইড অ্যান্ড পার্টনার ইউএএফ কমব্যাট পাওয়ার বিল্ড।’ ফেব্রুয়ারি মাসের এই নথিকে ‘গোপন’ হিসেবে দাবি করা হয়েছে। ইউক্রেনের কাছে ঠিক কী পরিমাণ পশ্চিমা অস্ত্র আছে এবং দেশটি কীভাবে তাদের জনবলকে প্রশিক্ষণ দিচ্ছে নথিটি সে বিষয়ক বলে দাবি করা হয়েছে।
অন্য একটি ছবিতে লেখা, ‘রাশিয়া/ইউক্রেন জয়েন্ট স্টাফ জেথ্রি/ফোর/ফাইভ ডেইলি আপডেট (ডি+থ্রিসেভেনজিরো)।’
এখানে জেথ্রি বলতে অ্যামেরিকান সৈন্যের যৌথ কাজ বোঝানো হয়েছে। জেফোর বলতে লযিস্টিক্স ও ইঞ্জিনিয়ারিং এবং জেফাইভ বলতে বোঝানো হচ্ছে পরিকল্পনা, কৌশল এবং নীতি। ‘ডি+ থ্রিসেভেনজিরো’ বলতে বোঝানো হয়, যে সময়ে এই নথিটি প্রকাশ করা হয়েছে।
তৃতীয় ছবিটি টপ সিক্রেট তালিকার হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে। একটি ম্যাপে দেখানো হয় ১ মার্চ পর্যন্ত যুদ্ধের বিস্তারিত সব তথ্য।
চতুর্থ ছবিতে দেখা যায়, আবহাওয়া পূর্বাভাস নিয়ে কথা বলা হচ্ছে। ইউক্রেনের যে অঞ্চল বরফে আচ্ছন্ন সেখান দিয়ে যানবাহন চালানোর পরিকল্পনা এতে রয়েছে।
টুইটার, টেলিগ্রামে ছড়িয়ে পড়া এসব ছবির বিষয়ে ক্রেমলিনের মুখপাত্র ডিমিট্রি পেসকভ বলেন, ‘আমরা জানি রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে অ্যামেরিকা ও নেইটোর সম্পৃক্ততা রয়েছে। ব্যাপারটিকে আমরা নজরে রেখেছি। তবে মনে হয় না এটি স্পেশাল অপারেশনের ওপর খুব একটা প্রভাব ফেলবে।’