বিচারপতি মো. নুরুজ্জামানসহ তিন সদস্যের আপিল বেঞ্চ ইউনূসের আপিলের আবেদন (লিভ টু আপিল) সোমবার এ আদেশ দেয়।
কারখানা ও প্রতিষ্ঠানের পরিদর্শন বিভাগের (ডিআইএফই) কৌঁসুলি খুরশীদ আলম খানের বরাতে বার্তাসংস্থা ইউএনবি জানায়, এর ফলে শ্রম আদালতে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে বিচার কার্যক্রম চলায় আইনি কোনো বাধা থাকছে না।
ইউনূসের পক্ষে আদালতে শুনানি করেন ব্যারিস্টার আবদুল্লাহ আল মামুন।
কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের শ্রম পরিদর্শক আরিফুজ্জামান ২০২১ সালের ৯ সেপ্টেম্বর ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালতে মামলাটি করেন।
এতে অন্য আসামিরা হলেন, গ্রামীণ টেলিকমের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আশরাফুল হাসান, পরিচালক নূরজাহান বেগম ও শাহজাহান।
এজাহারে বলা হয়, গ্রামীণ টেলিকম অধিদপ্তরের পরিদর্শকদের পরিদর্শনে দেখা গেছে সেখানে ১০১ জন কর্মী-কর্মচারীকে স্থায়ী করার কথা থাকলেও তা করা হয়নি।
তাদের জন্য কোনো অংশগ্রহণ তহবিল ও কল্যাণ তহবিল গঠন করা হয়নি এবং কোম্পানির লাভের পাঁচ শতাংশও আইন মেনে শ্রমিকদের দেয়া হয়নি।
এসব অভিযোগের ভিত্তিতে শ্রম আইনের ৪, ৭, ৮, ১১৭ ও ২৩৪ ধারায় ফৌজদারি মামলাটি করা হয়।
শ্রম আদালত গত ১২ অক্টোবর চার আসামিকে জামিন দেন। পরে ৭ ডিসেম্বর মামলা বাতিল চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করেন ড. ইউনূস।
১২ ডিসেম্বর হাইকোর্ট একটি মামলার প্রক্রিয়া ছয় মাসের জন্য স্থগিত করে। তবে গত বছরের ১৭ আগস্ট হাইকোর্ট মামলা বাতিলের আবেদন খারিজ করে দেয়।
পরে হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে লিভ টু আপিল করেন অধ্যাপক ইউনূস।