অ্যামেরিকায় গ্রিন কার্ড ও ফ্যামিলি ভিসা নিয়ে সুখবর

টিবিএন ডেস্ক

প্রকাশিত: আগস্ট ১০ ২০২৫, ২০:২৩

অ্যামেরিকার পতাকার পেছনে হাস্যোজ্জ্বল কয়েকজন মানুষ। ছবি: অ্যাপ্লাই জোনস

অ্যামেরিকার পতাকার পেছনে হাস্যোজ্জ্বল কয়েকজন মানুষ। ছবি: অ্যাপ্লাই জোনস

  • 0

‘এই বিলটার মধ্যে একটু আশাব্যাঞ্জক দেখা যায়। কারণটা হচ্ছে এটা বাই-পার্টিজান (দ্বিদলীয়) বিল বলা হচ্ছে। কারণ এটা ফ্লোরিডার যে রিপাবলিকান সিনেটর, সে এটা উপস্থাপন করেছে এবং ডেমোক্র্যাট একজন রিপ্রেজেন্টেটিভ সেও এটাকে সাপোর্ট করেছে এবং আরও ১০ জন রিপাবলিকান সেটাকে সাপোর্ট দিয়েছে ইনিশিয়ালি।’

অ্যামেরিকা ও বাইরে ডিগনিটি অ্যাক্ট-২০২৫ নামের দ্বিদলীয় একটি বিল নিয়ে আলোচনা চলছে আলোচনা। বিলটি আইনে পরিণত হলে গ্রিন কার্ডপ্রত্যাশী ও ফ্যামিলি ভিসার সুযোগপ্রত্যাশীদের জন্য সুখবর রয়েছে বলে টিবিএন অ্যানালাইসিসের উপস্থাপক রানা আহমেদকে জানিয়েছেন অ্যাটর্নি মাহফুজুর রহমান।

টিবিএন: ডিগনিটি অ্যাক্ট-২০২৫ নামের এই যে বিলটি, এটা আসলে কী? কেন এটি এতটা গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে হচ্ছে? এর লক্ষ্যটাই বা কী? এই বিলের মধ্য দিয়ে যারা ড্রিমার্স আছে, তাদের স্ট্যাটাসটা কী হবে এবং যে পরিমাণ গ্রিন কার্ড ইস্যু করা হচ্ছে, এই বিলটি পাস হলে গ্রিন কার্ড ইস্যুর সংখ্যা দ্বিগুণ হবে। সেটাও কী পরিমাণ হবে, আমি বলেছি এবং বিশেষ করে যেটা কর্মসংস্থান এবং পারিবারিক ভিসা ক্যাটাগরিতে যারা দীর্ঘদিন ধরে অপেক্ষা করছেন, তারা কতটুকু সুবিধা পাবেন? এই নিয়ে একজন ইমিগ্রেশন অ্যাটর্নি হিসেবে আপনার কী ভাবনা এবং তারপর কী হতে পারে? এই বিষয়টি আপনার কাছে জানতে চাইব।

মাহফুজুর রহমান: ধন্যবাদ, রানা ভাই। আজকে একটি খুব সুন্দর বিষয় উপস্থাপন করেছেন দর্শকদের জন্য। ড্রিমার্স অ্যাক্ট-২০২৫, এটা হয়তো অনেকেই জানে। অলরেডি এটা পাবলিশড হয়েছে এবং এটা কংগ্রেসে উপস্থাপন করা হয়েছে।

এটা অবশ্যই হয়তোবা দর্শকরা জানে যে, ল মেকিংয়ের (আইন প্রণয়ন) যে প্রসেস অ্যামেরিকাতে, প্রথমে কংগ্রেস অথবা সিনেটে লটা উপস্থাপন করতে হয়। এরপরে কংগ্রেসে যাচাই-বাছাইয়ের পর যদি কংগ্রেস এটা অ্যাপ্রুভ করে, সেটা সিনেটে যাবে। সিনেটে যদি অ্যাপ্রুভ করে, তখন প্রেসিডেন্ট স্বাক্ষর করবে।

তো এই বিলটার মধ্যে একটু আশাব্যাঞ্জক দেখা যায়। কারণটা হচ্ছে এটা বাই-পার্টিজান (দ্বিদলীয়) বিল বলা হচ্ছে। কারণ এটা ফ্লোরিডার যে রিপাবলিকান সিনেটর, সে এটা উপস্থাপন করেছে এবং ডেমোক্র্যাট একজন রিপ্রেজেন্টেটিভ সেও এটাকে সাপোর্ট করেছে এবং আরও ১০ জন রিপাবলিকান সেটাকে সাপোর্ট দিয়েছে ইনিশিয়ালি।

তো সে ক্ষেত্রে বোঝা যায় যে, দুই পক্ষেরই একটা সমর্থন রয়েছে বিলটাতে এবং এ বিলটাতে হিউজ বিষয় কিন্তু আনা হয়েছে। এটাকে বিগ বিল বলা যায়। এখানে বর্ডার সিকিউরিটি, তারপর আনডকুমেন্টেড যে ইমিগ্র্যান্ট আছে, তাদের জন্যও ব্যবস্থা করা হয়েছে, তারপর আপনি যেটা বললেন, ড্রিমার্স, তাদের জন্যও ব্যবস্থা করা হয়েছে।

ফ্যামিলি পিটিশনের ক্ষেত্রে, ফ্যামিলি রিইউনিফিকেশনের জন্য ব্যাকলগ কমিয়ে আনার লক্ষ্যে বিধান রাখা হয়েছে। এগুলো আসলে ফিউচারে যাচাই-বাছাইয়ের বিষয়। এখন আমরা অ্যাপারেন্টলি বিলটিতে যেসব প্রভিশন দেখতে পাই উল্লেখযোগ্য, সেটি হচ্ছে যে আপনার ফ্যামিলি বেইজড পিটিশন, যেটা আমরা সবসময় বলি। ভাই-বোনের আবেদনে কত সময় লাগবে, গ্রিন কার্ডের আবেদনে কত সময় লাগবে, আমাদেরকে সবসময় এসব প্রশ্নের উত্তর দিতে হয়।

সেটাতেও কিন্তু টাচ করেছে যে, সেটাতেও কিন্তু একটা এক্সপাডাইট (দ্রুত) করার সুযোগ রেখেছে, যেটাতে কি না টোয়েন্টি থাউজ্যান্ড ডলার ফি পে করলে অবভিয়াসলি এটা খুবই লোভনীয় প্রস্তাব। এটা আবার গভর্নমেন্টের জন্য এটা খুবই…কারণ প্রতিটা ক্ষেত্রে আমরা কিন্তু দেখতে পাচ্ছি যে, টাকার বিষয়। এখন বন্ড চালু করেছে।

তো এ রকম যদি ২০ থাউজ্যান্ড দিয়ে কেউ এক্সপাডাইট করতে চায়, অবভিয়াসলি সেটা গভর্নমেন্টের জন্য ভালো এবং গভর্নমেন্ট হয়তোবা এটা পাস করার ক্ষেত্রে এগিয়ে যেতে পারে এবং প্রেসিডেন্টও সাইন করার জন্য উৎসুক হতে পারে। ও টোয়েন্টি থাউজ্যান্ড পাব একটা কেইস যদি তারা এক্সপাডাইট করতে চায়।

তো সে ক্ষেত্রে ব্যাকলগ কমিয়ে আনার জন্য আরেকটি যেটা পরিকল্পনা করেছে, সেটি হচ্ছে যে, পারসেন্টিজটা ডাবল করার প্ল্যান রয়েছে, যেটা আপনি বলেছেন যে, সাত পারসেন্ট থেকে ১৫ পারসেন্টে। কারণ হচ্ছে যে, ফ্যামিলি বেইজড এবং এমপ্লয়মেন্ট বেইজড ইমিগ্রেশনের যে প্রসেসটা রয়েছে, এতে কিন্তু হাফ মিলিয়নের মতো প্রতি বছর তারা এ ক্যাটাগরিতে ভিসা ইস্যু করে। সে ক্ষেত্রে কিন্তু সেভেন পারসেন্টের বেশি কোনো কান্ট্রি এটা অ্যাচিভ করতে পারে না।

তো সেই হিসাব করলে দেখা যায় যে, ২৫ থেকে ৩০ হাজার ইমিগ্র্যান্ট হয় ওই ক্যাটারিতে, সে ক্ষেত্রে। তো এটা যদি ডাবল হয়, অবভিয়াসলি ফিফটি থাউজ্যান্ডের কাছাকাছি একটা কান্ট্রি কিন্তু ইমিগ্র্যান্ট সেন্ট করতে পারবে; ওই ফ্যামিলি বেইজ এবং এমপ্লয়মেন্ট বেইজের ক্ষেত্রে। এটা খুবই মারাত্মক সুখবর বলা যায়। আর ইমিডিয়েট রিলেটিভস, তারা তো আছেই। যেমন: গত বছরের হিসাবে দেখা যায়, প্রায় মিলিয়ন ইমিগ্র্যান্ট ভিসা পেয়েছে।

টিবিএন: ২০২৩ সালের হিসাবটা আমার কাছে আছে। ওয়ান পয়েন্ট ওয়ানসেভেন মিলিয়ন মানুষ গ্রিন কার্ড পেয়েছে। আগের বছর যেটা, ২০২২ সাল থেকে পনের পয়েন্ট দুই পারসেন্ট বেশি। এটা যদি হয়, তাহলে তো ডাবল হয়ে যাবে।

মাহফুজুর রহমান: এটা হবে এবং ব্যাকলগ কমানোর যে পরিকল্পনা, সেটাও সুখবর বলা যায়। ড্রিমার্সের জন্য একটা ভালো বিধান রেখেছে। ড্রিমার্সদের জন্য টেন ইয়ার্সের একটা কন্ডিশনাল গ্রিন কার্ডের প্রভিশন রেখেছে। সে কন্ডিশনাল প্রভিশনের ক্ষেত্রে তাদেরকে প্রুভ করতে হবে যে, ২০২১ জানুয়ারি থেকে তারা কন্টিনিউয়াস বসবাস করছে। ১৮ বছরের ওপরে হতে হবে। তারা স্কুলে গ্র্যাজুয়েট হয়েছে, কলেজ বা টেকনিক্যাল স্কুলে পড়ছে। আর তারা যদি নিতে পারে কন্ডিশনাল গ্রিন কার্ড, পরবর্তীতে সেটা আবার পারমানেন্ট করার ব্যবস্থা রেখেছে।