এনসেলাডেস থেকে মহাকাশে ছড়িয়ে পড়া বাষ্পের ধারাটি প্রায় ৯৬০০ কিলোমিটার উচ্চতা পর্যন্ত বিস্তৃত, আর পরিধি ৫০৪ কিলোমিটার।
জেমস ওয়েব টেলিস্কোপ ব্যবহার করে বিজ্ঞানীরা এই বাষ্পধারা শনাক্ত করেছেন। এটি এনসেলাডেসের আকারের চেয়েও ২০ গুণ প্রসারিত।
ইউরোপিয়ান স্পেস এজেন্সির (ইএসএ) হিসাবে জলীয়বাষ্পের এই ধারাটি থেকে প্রতি সেকেন্ডে ৩০০ লিটার পানি বের হচ্ছে। ইএসএ জানায়, এই ধারা থেকে কয়েক ঘণ্টার মধ্যে একটি অলিম্পিক সুইমিংপুল পরিপূর্ণ করতে পারে।
জেমস ওয়েব টেলিস্কোপের ইনফ্রারেড স্পেকট্রোগ্রাফ যন্ত্র ব্যবহার করে বাষ্পধারার বৈশিষ্ট্য শনাক্ত করা গেছে।
এনসেলাডেস পৃষ্ঠে নোনা সাগর রয়েছে। তাই জ্যোতির্বিজ্ঞানীদের ধারণা, পানির এই উৎস প্রাণের টিকে থাকার জন্য মৌলিক শর্তগুলো পূরণ করে।
স্কটল্যান্ডের জ্যোতির্বিজ্ঞানী অধ্যাপক ক্যাথরিন হেইম্যান্স বলেন, ‘এনসেলাডেস পৃষ্ঠের তাপমাত্রা মাইনাস ২০০ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং এটি হিমশীতল ঠান্ডা। তবে আমরা মনে করি পানি গরম করার জন্য চাঁদের মূল অংশটি যথেষ্ঠ গরম। এই ধারাগুলো বের হয়ে আসার এটিই কারণ।’
এনসেলাডেস শনির ষষ্ঠ চাঁদ। ৫০৪ কিলোমিটার ব্যাসের এই চাঁদটি পৃথিবীর আয়তনের প্রায় চার শতাংশ।