
দুবাই দিচ্ছে ভার্চুয়াল ভিসা, ১৩,৫৯৬ টাকায় বসবাস ও কাজের সুযোগ

টিবিএন ডেস্ক
প্রকাশিত: আগস্ট ১৮ ২০২৫, ৭:৪০ হালনাগাদ: ডিসেম্বর ৩ ২০২৫, ৮:২৯

দুবাইয়ের ডিজিটাল নোমাড ভিসা নিয়ে এক বছর দুবাইতে বসবাস ও কাজ করা সম্ভব। ছবি: এনডিটিভি
- 0
ভিসার মেয়াদ শেষ হলে আবার একই প্রক্রিয়া অনুসরণ করে পুনরায় আবেদন করে ভিসা পাওয়া যাবে।
অনন্য আকর্ষণ এবং উন্নত জীবনযাত্রার কারণে অনেকের স্বপ্নের গন্তব্য হচ্ছে দুবাই। কখনও অন্য দেশে অস্থায়ীভাবে স্থানান্তরিত হতে চাইলে লুফে নিতে পারেন দুবাই কর্তৃপক্ষের দেয়া আকর্ষণীয় ভিসা অফার। যেখানে রয়েছে এক বছরের জন্য কাজ ও বসবাসের সুযোগ।
দুবাইয়ের ডিজিটাল নোমাড ভিসা নিয়ে এক বছর দুবাইতে বসবাস ও কাজ করা সম্ভব।
দুবাই ভার্চুয়াল ওয়ার্কিং প্রোগ্রাম হিসেবে পরিচিত দুবাই ডিজিটাল নোমাড ভিসা মূলত দূরবর্তী কর্মীদের জন্য তৈরি একটি ভিসা। এই ভিসার আওতায় এক বছর ধরে দুবাইতে বসবাস এবং কাজ করা যাবে। তবে কাজটি সংযুক্ত আরব আমিরাতের বাইরের কোনো কোম্পানির জন্য হতে হবে।
এই ভিসার জন্য কোনো স্পনসরের প্রয়োজন নেই, তবে আবেদন করার আগে আপনাকে নির্ধারিত যোগ্যতা শর্তগুলো পূরণ করতে হবে।
যোগ্যতা
দুবাই ডিজিটাল ওয়ার্ক ভিসার জন্য আবেদন করতে কিছু প্রয়োজনীয় শর্ত পূরণ করতে হবে যার মধ্যে প্রথম শর্ত হচ্ছে ব্যক্তিকে অবশ্যই সংযুক্ত আরব আমিরাতের বাইরে নিবন্ধিত কোনও কোম্পানির কর্মচারী হতে হবে। অর্থাৎ দুবাইতে বসে শুধু বিদেশি কোম্পানির জন্য কাজ করতে পারবেন, স্থানীয় দুবাইয়ের কোম্পানির জন্য নয়।
সংযুক্ত আরব আমিরাতের বাইরের কোনও কোম্পানিতে কমপক্ষে এক বছর ধরে কাজ করছেন এমন চাকরির প্রমাণপত্র থাকতে হবে।
সর্বনিম্ন মাসিক আয় ১২,৮৫৬ দিরহাম (প্রায় ৪ লাখ ৬৯ হাজার ২৪৪ টাকা)দেখাতে হবে।
প্রয়োজনীয় কাগজপত্র
প্রয়োজনীয় কাগজপত্রের মধ্যে রয়েছে, কমপক্ষে ছয় মাসের মেয়াদ সহ একটি বৈধ পাসপোর্ট, দুবাইতে থাকার খরচ বহনকারী স্বাস্থ্য বীমা, চাকরির প্রমাণপত্র, নিজ দেশে অপরাধের ইতিহাস নেই এমন রেকর্ডপত্র, পাসপোর্ট সাইজের ছবি, মাসিক আয় বা ৩ মাসের ব্যাংক স্টেটমেন্ট বা সাম্প্রতিক বেতন স্লিপ এবং ভিসার জন্য আপনার থাকার স্থানের প্রমাণ।
কীভাবে আবেদন করবেন:
১. আবেদনের জন্য সকল প্রয়োজনীয় নথি সংগ্রহ করতে হবে।
২. এরপর জিডিআর-দুবাই পোর্টাল অথবা ভার্চুয়াল ওয়ার্কিং প্রোগ্রাম ওয়েবসাইট থেকে অনলাইনে আবেদন করা যাবে অথবা দুবাইয়ের একটি আমের সেন্টারে সশরীরে উপস্থিত হয়ে আবেদন করতে পারবেন।
৩. পরবর্তী ধাপ হল আবেদনপত্র পূরণ করা এবং প্রয়োজনীয় সমস্ত নথি আপলোড করা।
৪. এরপর ভিসা ফি প্রদান করতে হবে যা প্রায় ৩৭২.৫ দিরহাম (প্রায় ১৩,৫৯৬ টাকা)। তবে, অন্যান্য খরচও যোগ হতে পারে।
৫. অনুমোদিত হয়ে গেলে, সংযুক্ত আরব আমিরাতের বাইরে থেকে আবেদন করলে প্রবেশের অনুমতি দেয়া হবে।
৬. দুবাইতে পৌঁছানোর পর, একটি মেডিকেল ফিটনেস পরীক্ষা, বায়োমেট্রিক্স, একটি এমিরেটস আইডি আবেদন এবং একটি রেসিডেন্সি ভিসা স্ট্যাম্পিং সম্পন্ন করতে হবে।
দুবাই ডিজিটাল নোমাড ভিসা সাধারণত ৫-১৪ কার্যদিবসের মধ্যে অনুমোদিত হয়, তবে এটি এক আবেদন থেকে অন্য আবেদনে পরিবর্তিত হতে পারে।
যে কেউ নির্ধারিত যোগ্যতার শর্ত পূরণ করেন এক বছরের জন্য দুবাইতে বসবাস ও কাজ করতে পারবে। তবে যারা দীর্ঘ সময় সেখানে থাকতে চান, তাদের জন্য এটি প্রযোজ্য নয়। ভিসার মেয়াদ শেষ হলে আবার একই প্রক্রিয়া অনুসরণ করে পুনরায় আবেদন করে ভিসা পাওয়া যাবে।