এ ব্যাপারে অ্যামেরিকার কপটার দিকে আঙুল তুলে সংবাদমাধ্যমকে বলেন, কোরিয়ার প্রতি অ্যামেরিকা গায়ের জোরে যুক্তি খাটাচ্ছে ও অভ্যাসবসত শত্রুতা দেখাচ্ছে।
স্যাটেলাইট ও গোয়েন্দা বিমান দিয়ে অ্যামেরিকা সার্বক্ষণিকভাবে উত্তর কোরিয়ার ওপর নজরদারি করছে বলে অভিযোগ করেন কিম ইয়ো জং।
দেশটির রাষ্ট্রীয় সংবাদসংস্থা কেসিএনএ বুধবার প্রকাশিত এক বিবৃতিতে কিম বলেন, ‘স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণের জন্য কোরিয়া নিন্দিত হলে অ্যামেরিকাসহ অন্য দেশ যারা এর আগে কয়েক হাজার স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করেছে তাদেরও সমালোচনা করা উচিত।’
কিম জং উনের সরকারের সামরিক পরীক্ষাগুলোকে ওই অঞ্চলের শান্তির জন্য হুমকি উল্লেখ করে ইউএস ন্যাশনাল সিকিউরিটি কাউন্সিলের মুখপাত্র জন কারবি বুধবার এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘নর্থ কোরিয়ার উৎক্ষেপণ নিয়ে প্রধান উদ্বেগ হলো, তারা ব্যর্থ হোক কিংবা সফল কিম জং উন, তার বিজ্ঞানী ও প্রকৌশলীরা সামরিক সক্ষমতা বাড়াতে বারবার চেষ্টা করবেন। সেটি এ উপদ্বীপ শুধু নয়, পুরো অঞ্চলের জন্য হুমকির।’
উত্তর কোরিয়া বুধবার জানায়, তাদের প্রথম গোয়েন্দা স্যাটেলাইটটি কক্ষপথে রাখার প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে। অ্যামেরিকা ও দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে দীর্ঘদিনের নিরাপত্তাজনিত উত্তেজনার ফলে ঘটনাটি কিম জং উনের জন্য অত্যন্ত বিব্রতকর।
আনুষ্ঠানিক এক বিবৃতিতে উত্তর কোরিয়া জানিয়েছে তাদের স্যাটেলাইটটির ব্যর্থতার কারণ জানতে কাজ করছেন বিজ্ঞানীরা। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব এটি উৎক্ষেপণে নতুন পদক্ষেপ নেয়া হবে।