নির্বাচন সামনে রেখে ডিজিটাল মাধ্যমকে উন্মুক্ত ও নিরাপদ রাখা সবচেয়ে জরুরি: কানাডিয়ান হাইকমিশনার

টিবিএন ডেস্ক

প্রকাশিত: ডিসেম্বর ৯ ২০২৫, ১৭:৩৪ হালনাগাদ: ডিসেম্বর ৯ ২০২৫, ২২:৪৭

রাজধানীর একটি হোটেলে সোমবার ‘বিল্ড ফর ডেমোক্রেসি- হ্যাকাথন’-এর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারীরা। ছবি:  টিবিএন

রাজধানীর একটি হোটেলে সোমবার ‘বিল্ড ফর ডেমোক্রেসি- হ্যাকাথন’-এর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারীরা। ছবি: টিবিএন

  • 0

‘নিরাপদ ও বিশ্বাসযোগ্য ডিজিটাল পরিসর গণতান্ত্রিক অংশগ্রহণ ও জনআস্থার ভিত্তি। ডিজিটাল ইন্টেগ্রিটি রক্ষা করা এখন অত্যাবশ্যক’, বলেন হাইকমিশনার অজিত।

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ডিজিটাল পরিসরকে নিরাপদ, অন্তর্ভুক্তিমূলক ও উন্মুক্ত রাখা আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ বলে অভিমত ব্যক্ত করেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত কানাডার হাইকমিশনার অজিত সিং।

রাজধানীর একটি হোটেলে সোমবার ‘বিল্ড ফর ডেমোক্রেসি- হ্যাকাথন’-এর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ অভিমত দেন।

নির্বাচনকালে সাইবার বুলিং ও বিভ্রান্তিমূলক তথ্যের ঝুঁকি মোকাবিলায় ডিজিটাল টুল উন্নয়নের লক্ষ্যে প্রযুক্তিভিত্তিক আইডিয়েশন প্রতিযোগিতার অংশ হিসেবেএ হ্যাকাথনের আয়োজন করা হয়।

‘নিরাপদ ও বিশ্বাসযোগ্য ডিজিটাল পরিসর, গণতান্ত্রিক অংশগ্রহণ ও জনআস্থার ভিত্তি। ডিজিটাল ইন্টেগ্রিটি রক্ষা করা এখন অত্যাবশ্যক’, বলেন হাইকমিশনার অজিত।

‘হ্যাকাথনটি শুধু প্রযুক্তিগত উদ্ভাবনের ক্ষেত্র নয়, এর মাধ্যমে গণতান্ত্রিক স্থিতিস্থাপকতা গড়ে তুলতে তরুণ উদ্ভাবকদের ভূমিকা আরও দৃঢ় হবে। আমরা চাইএমন সব উদ্ভাবন, যা মানুষের কণ্ঠকে শক্তিশালী করবে, জনআস্থা বৃদ্ধি করবে’, যোগ করেন তিনি।

এ কূটনীতিক মনে করেন, বাংলাদেশের দ্রুত বিস্তৃত হওয়া ডিজিটাল পরিসর একদিকে স্বচ্ছতার সুযোগ তৈরি করছে, অন্যদিকে ভুয়া তথ্য, হয়রানি ও আস্থা হ্রাসের মতো চ্যালেঞ্জও বাড়াচ্ছে।

অংশগ্রহণকারীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আজ যে ধারণাগুলো নিয়ে আপনারা কাজ শুরু করেছেন, তা অনলাইন পরিসরকে আরও নিরাপদ, অন্তর্ভুক্তিমূলক ও স্থিতিশীল করতে বড় ভূমিকা রাখতে পারে।’

বিল্ড ফর ডেমোক্রেসি- হ্যাকাথনের আয়োজন করে ‘সেকডেভ’, যার সহায়তায় ছিল গ্লোবাল অ্যাফেয়ার্স কানাডা। এর কৌশলগত অংশীদার হিসেবে যুক্ত ছিল ইউএনডিপি বাংলাদেশ।

এ আয়োজনের বাস্তবায়নকারী অংশীদার হিসেবে ছিল ‘পিস মেকার স্টুডিও’, ‘অ্যাকটিভ রাইটস’। যোগাযোগ ও প্রচার সহযোগী ছিল রূপান্তর ও সার্জ বাংলাদেশ। পুরস্কার সহযোগী হিসেবে যুক্ত ছিল ফিল্মস ফর পিস ফাউন্ডেশন।

উদ্যোগটিতে দেশের বিভিন্ন প্রান্তের তরুণ প্রযুক্তিবিদ, সুশীল সমাজের সদস্য, উদ্যোক্তা ও গবেষকরা অংশ নেন।

অনুষ্ঠানের কেন্দ্রবিন্দু ছিল ‘শার্ক ট্যাংক’ ধাঁচের ইনোভেশন অ্যারেনা, যেখানে দলগুলো তাদের প্রোটোটাইপ উপস্থাপন করে বিচারকদের সামনে।

বিজয়ী দলগুলোকে নির্দিষ্ট সহায়তা এবং তহবিল প্রদান করা হবে, যার মাধ্যমে এক মাসের মধ্যে তাদের সমাধানের আলোকেমিনিমাম ভায়েবল প্রোডাক্ট বা এমভিপি তৈরি করার নির্দেশনা দেওয়া হয়।