দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান জানিয়েছেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার সম্পদের একটি বড় অংশ গোপন করেছেন। এই অভিযোগের ভিত্তিতে দুদক তার বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদের অনুসন্ধান শুরু করেছে।
মৌলভীবাজার শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে রবিবার দুদকের ১৭৫তম গণশুনানি শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন দুদক চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ আবদুল মোমেন।
এর আগে তিনি গণশুনানিতে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন।
দুদক চেয়ারম্যান বলেন, ‘সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তার সন্তান, বোন ও বোনের সন্তানদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। আরও দুয়েকটি মামলা অনুসন্ধানে রয়েছে। কেবল সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও তার পরিবারের সদস্য নন, অনেকের সম্পদের অনুসন্ধান করছে দুদক। কারও কারও ক্ষেত্রে প্রমাণও হয়েছে, সেক্ষেত্রে আমরা মামলার দিকে যাচ্ছি। কোনো কোনো ক্ষেত্রে মামলাও হয়েছে।’
তিনি বলেন, বৈষম্যের সূত্রপাত দুর্নীতির মাধ্যমে ঘটছে। আমরা একটা বিশাল পরিবর্তনের মধ্যে দিয়ে এই জায়গাতে এসেছি। যে পরিবর্তনটা ঘটেছে সেই পরিবর্তনটা ছিলো একটা বৈষম্যমূলক সমাজের বিরুদ্ধে। দুর্নীতিই বৈষম্যের সৃষ্টি করে। কাজেই এই দুর্নীতি যত কমিয়ে আনা যায় বৈষম্য ততো কমে আসবে।’
দুদক ছাড়াও জেলার বিভিন্ন অফিস প্রধানের উদ্যোগে মাসে অন্তত একবার সেবাগ্রহীতাদের নিয়ে গণশুনানি আয়োজনের তাগিদ দেন দুদক চেয়ারম্যান। এতে অনেক সমস্যার সমাধান হবে বলে মনে করেন তিনি।