বাগানের পাথরে ১০ সেকেন্ডের বেশি বসে হাসপাতালে চীনা নারী

টিবিএন ডেস্ক

প্রকাশিত: জুলাই ২৭ ২০২৫, ২২:২০

কিয়ান ও তার মেডিক্যাল টিম দগ্ধ নারীর অস্ত্রোপচার সম্পন্ন করেছে। তার চামড়া প্রতিস্থাপনের কথাও রয়েছে তাদের। ছবি: এসসিএমপি

কিয়ান ও তার মেডিক্যাল টিম দগ্ধ নারীর অস্ত্রোপচার সম্পন্ন করেছে। তার চামড়া প্রতিস্থাপনের কথাও রয়েছে তাদের। ছবি: এসসিএমপি

  • 0

সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট-এসসিএমপি রবিবার জানায়, তাপে নিতম্ব পুড়ে যাওয়া ওই নারীর চামড়া প্রতিস্থাপন করতে হবে।

মধ্য চীনের হুবেই প্রদেশের জিয়ানগিয়াং এলাকায় নিজ বাগানের গরম হয়ে ওঠা পাথরে ১০ সেকেন্ডের একটু বেশি সময় বসে মারাত্মক দগ্ধ হয়েছেন ৭২ বছর বয়সী এক নারী।

সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট-এসসিএমপি রবিবার জানায়, তাপে নিতম্ব পুড়ে যাওয়া ওই নারীর চামড়া প্রতিস্থাপন করতে হবে।

এ ঘটনায় মারাত্মক তাপের সংস্পর্শে আসার বিপদ নিয়ে ব্যাপক উদ্বেগ দেখা গেছে।

এসসিএমপির প্রতিবেদনে জানানো হয়, ঘটনাটি গত ৭ জুলাইয়ের। ওই দিন ওয়াং নামের ওই দাদি জিয়ানগিয়াংয়ে নিজের সবজি বাগানে কাজ করছিলেন। সে সময় তাপমাত্রা ছিল ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

গ্রীষ্মকালীন উচ্চ তাপমাত্রার জন্য পরিচিত হুবেই। প্রদেশটির রাজধানী শহর উহানকে চীনের তিন ফার্নেসের একটি বলা হয়।

বাগানে কাজ করে পরিশ্রান্ত নারীটি পাথরে বসে বিশ্রাম নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। বসামাত্রই প্রচণ্ড তাপ অনুভব করেন তিনি, কিন্তু পায়ে সমস্যার কারণে দ্রুত দাঁড়াতে পারছিলেন না এ নারী।

প্রতিবেশী একজন কান্না শুনে বাগানে এসে সত্তরোর্ধ্ব নারীকে উদ্ধার করেন। পুরো ঘটনাটি ঘটে ১০ সেকেন্ডের সামান্য বেশি সময় ধরে।

ঘটনার দিন সন্ধ্যায় তীব্র ব্যথা অনুভব করেন ওই নারী। তার নিতম্ব মারাত্মকভাবে ফুলে যায়। পরের দিন সকালে তাকে হাসপাতালে নিয়ে যান পরিবারের সদস্যরা।

স্থানীয় হাসপাতালে পরীক্ষার পর বার্ন বিভাগের প্রধান কিয়ান বেন জানান, ওই নারীর পেছনের অংশে তৃতীয় মাত্রার পোড়া।

এ চিকিৎসক জানান, তৃতীয় মাত্রার পোড়ার মানে হলো চামড়ার টিস্যুর পুরো স্তর মরে যাওয়া, যা শুধু ওষুধে সারে না। অস্ত্রোপচার করে মরা টিস্যু সরাতে হয়। তারপর দরকার হয় চামড়া প্রতিস্থাপনের।

কিয়ান ও তার মেডিক্যাল টিম দগ্ধ নারীর অস্ত্রোপচার সম্পন্ন করেছে। তার চামড়া প্রতিস্থাপনের কথাও রয়েছে তাদের।

বর্তমানে স্থিতিশীল অবস্থায় আছেন ওয়াং। তার স্বাস্থ্যের দীর্ঘমেয়াদি কী হয়েছে, সে বিষয়ে কোনো তথ্য প্রকাশ করা হয়নি।

চিকিৎসকরা জানান, কোনো ধাতু বা কংক্রিটের উপরিভাগে তাপমাত্রা ৫০ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছাড়ালে মাত্র ১ মিনিটের সংস্পর্শে গায়ে ফোস্কা পড়তে পারে। তাপমাত্রা ৬০ ডিগ্রির বেশি হলে এক মিনিট সময় কোনো উপরিভাগের সংস্পর্শে এলে দেহ দ্বিতীয় মাত্রার দগ্ধের শিকার হতে পারে। অন্যদিকে ৭০ বেশির বেশি তাপমাত্রার সময় কোনো উপরিভাগের সংস্পর্শে এলে কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে চামড়া ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।

চিকিৎসকরা সূর্যালোকে থাকা উপরিভাগের সরাসরি সংস্পর্শ থেকে লোকজনকে দূরে থাকার আহ্বান জানিয়েছেন।