ট্রাম্পের ভিসা নিষেধাজ্ঞার নিশানায় এবার কারা?

টিবিএন ডেস্ক

প্রকাশিত: ডিসেম্বর ৯ ২০২৫, ৭:৫৩

স্টেট ডিপার্টমেন্টের মেমো থেকে থেকে পাওয়া এই নির্দেশনা বার্তা সংস্থা রয়টার্সের হাতে এসেছে। গ্রাফিক্স: টিবিএন

স্টেট ডিপার্টমেন্টের মেমো থেকে থেকে পাওয়া এই নির্দেশনা বার্তা সংস্থা রয়টার্সের হাতে এসেছে। গ্রাফিক্স: টিবিএন

  • 0

এই নির্দেশিকা সাংবাদিক এবং পর্যটক সহ সকল ধরণের ভিসার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য।

ট্রাম্প প্রশাসনের নতুন নির্দেশনা অনুযায়ী ফ্যাক্ট-চেকিং বা তথ্য যাচাই, বিষয়বস্তু নিয়ন্ত্রণ (কনটেন্ট মডারেশন), কমপ্লায়েন্স বা অনলাইনে নিরাপত্তা সংক্রান্ত কাজে যুক্ত ছিলেন—এমন যেকোনো ব্যক্তির অ্যামেরিকার ভিসা বাতিল করতে হবে।

স্টেট ডিপার্টমেন্টের মেমো থেকে থেকে পাওয়া এই নির্দেশনা বার্তা সংস্থা রয়টার্সের হাতে এসেছে। মেমোতে তথ্য-পরীক্ষক ও সেন্সরদের জন্য ভিসা নিষিদ্ধ করতে অ্যামেরিকান কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

নতুন ভিসা নিষেধাজ্ঞা মূলত টেক সেক্টরের কর্মীদের ওপর বেশি প্রভাব ফেলবে, বিশেষ করে ভারতসহ এমন দেশগুলোর ওপর, যেখান থেকে টেক কর্মীরা বেশি আবেদন করেন।

মেমোতে কনস্যুলার কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যে, ‘অ্যামেরিকায় কারও মত প্রকাশের স্বাধীনতাকে সেন্সর করা বা সেন্সর করার চেষ্টায় জড়িত মনে হবে—তাদের যে কোনো ধরনের ভিসাই বাতিল করতে হবে।

এই নির্দেশিকা সাংবাদিক এবং পর্যটক সহ সকল ধরণের ভিসার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। তবে সবচেয়ে বেশি নজর দেওয়া হচ্ছে এইচ-১বি ভিসা আবেদনকারীদের ওপর, যা সাধারণত প্রযুক্তি এবং সংশ্লিষ্ট খাতে অত্যন্ত দক্ষ বিদেশি কর্মীদের দেওয়া হয়।

ভিসা আবেদনকারীদের পেশাগত ইতিহাস, লিংকডইন প্রোফাইল এবং সামাজিক মাধ্যম ভালোভাবে খতিয়ে দেখা হবে। কোন ব্যক্তিওর ক্ষেত্রে যদি ভুয়া তথ্য প্রতিরোধ, কনটেন্ট মডারেশন বা বিষয়বস্তু নিয়ন্ত্রণ, ট্রাস্ট অ্যান্ড সেফটি বা কমপ্লায়েন্স (বিশ্বাস এবং সুরক্ষা এবং সম্মতি) জাতীয় কাজে যুক্ত আছেন এমন প্রমাণ মিলে তবে তিনি অ্যামেরিকায় প্রবেশের অযোগ্য বলে গণ্য হতে পারেন।

এই নীতিটি মূলত অনলাইন নিরাপত্তা কাজে জড়িত ব্যক্তিদের লক্ষ্য করে তৈরি বলে মনে করা হচ্ছে। অনলাইন নিরাপত্তা নিয়ে কাজ করেন—যেমন শিশু নির্যাতনের কনটেন্ট প্রতিরোধ, ইহুদি-বিরোধী বক্তব্য (অ্যান্টিসেমিটিজম) রোধ করা, বা ক্ষতিকর অনলাইন কনটেন্ট নিয়ন্ত্রণ করেন এমন ব্যক্তিরা এই নীতিমালার আওতাভুক্ত হবেন।

এমনকি যুক্তরাজ্যের ‘অনলাইন সেইফটি অ্যাক্ট ২০২৩’বাস্তবায়নে যুক্ত কর্মকর্তারাও নতুন নীতির ফলে ভিসা জটিলতায় পড়তে পারেন।

২০২১ সালের ৬ জানুয়ারি ক্যাপিটল দাঙ্গার পর সামাজিক মাধ্যমে নিষেধাজ্ঞার ক্ষেত্রে প্রেসিডেন্টের নিজস্ব অভিজ্ঞতার কথা উল্লেখ করে ট্রাম্প প্রশাসন বাকস্বাধীনতার প্রতিরক্ষা হিসেবে এই নির্দেশিকাটি তৈরি করেছে।

স্টেট ডিপার্টমেন্টের এক মুখপাত্র দ্য গার্ডিয়ানকে বলেছেন, ‘যদিও আমরা ফাঁস হওয়া নথির বিষয়ে কোনও মন্তব্য করি না। তবে ভুল এখানে বোঝাবার কোনো সুযোগ নেই। প্রশাসন স্পষ্টভাবে বলছে, আমরা এমন বিদেশিদের সমর্থন করি না যারা অ্যামেরিকানদের চুপ করাতে ভিসা নিয়ে অ্যামেরিকায় আসে। এমন ধরনের সেন্সরশিপে বিদেশিদের নেতৃত্ব দেওয়া অ্যামেরিকান জনগণের জন্য অসম্মানজনক এবং ক্ষতিকর।’