আগামী ১৪ এবং ১৬ জুলাই সিলেটে দুই ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ অনুষ্ঠিত হবে। পরিসংখ্যানে এই ফরম্যাটে বাংলাদেশের চেয়ে এগিয়ে আছে আফগানিস্তান। নয়বারের মুখোমুখিতে আফগানদের জয় ৬টিতে, বাংলাদেশের ৩টিতে। সবগুলোতে সহজ জয় পেয়েছে আফগানিস্তান। অন্য দিকে জয় পেতে ঘাম ঝড়াতে হয়েছে বাংলাদেশকে।
২-১ ব্যবধানে হারা ওয়ানডে সিরিজে টিমকে শেষ দুই ম্যাচে নেতৃত্ব দেন লিটন দাস। শেষ ওয়ানডের জয় আফগানিস্তানের বিপক্ষে প্রথমবারের মতো টি-টোয়েন্টি সিরিজ জিততে আত্মবিশ্বাস যোগাবে বলে আশা করছেন লিটন।
তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডে ৭ উইকেটে জয়ের পর লিটন বলেন, ‘টি-টুয়েন্টি সিরিজের আগে শেষ ওয়ানডের জয় টনিক হিসেবে কাজ করবে… ছেলেরা ভালো পারফরমেন্স করেছে। শরিফুল ও তাসকিন নতুন বলের সুবিধা কাজে লাগিয়েছে। মাঝের ওভারগুলোতে ভালো করেছে স্পিনাররা। পুরো কৃতিত্ব বোলারদের। নিশ্চিতভাবে আত্মবিশ্বাসী হয়ে আমরা টি-টুয়েন্টি সিরিজ খেলতে নামবো।’
সিরিজে প্রথমবার খেলতে নেমে ২১ রানে ৪ উইকেট নিয়ে ক্যারিয়ার সেরা বোলিং করেন শরিফুল। তার বোলিং নৈপুন্যে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে বৃষ্টি আইনে প্রথম ম্যাচ ১৭ রানে এবং দ্বিতীয়টি ১৪২ রানে হেরে চাপে থাকা বাংলাদেশ।
শরিফুল বলেন, ‘ এই জায়গা আসতে আমি কঠোর পরিশ্রম করেছি। আয়ারল্যান্ড সিরিজের পর আমাকে কিছু কাজ দিয়েছিলন হাথুরুসিংহে ও ডোনাল্ড। আমি সেগুলো করেছি… বোলিং জুটি যখন ভালো হয়, তখন ছন্দেরও উন্নতি হয়। তাসকিন খুব ভালো বোলিং করছিল যা আমার জন্য সহজ হয়ে গিয়েছে।’
সবশেষ ২০২২ সালে বাংলাদেশ-আফগানিস্তানের মধ্যকার দুই ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ ১-১ সমতায় শেষ হয়েছিল।