
কী হয়েছিল ম্যানহাটনের সে ভবনে?

টিবিএন ডেস্ক
প্রকাশিত: জুলাই ২৯ ২০২৫, ৭:২৬ হালনাগাদ: ডিসেম্বর ৫ ২০২৫, ০:৩৩
.jpg)
হামলার পর সতর্ক অবস্থানে পুলিশ। ছবি: নিউ ইয়র্ক পোস্ট
- 0
ভবনটির ৩৩ তলায় পৌঁছে হাঁটতে হাঁটতে গুলি চালাতে শুরু করেন বন্দুকধারী।
ম্যানহাটনের একটি অফিস ভবনে সোমবার বন্দুকধারীর হামলায় এনওয়াইপিডিতে কর্মরত ৩৬ বছর বয়সি এক বাংলাদেশি কর্মকর্তাসহ চারজন নিহত হয়েছেন।
পুলিশের বরাত দিয়ে নিউ ইয়র্ক পোস্ট জানিয়েছে, সন্ধ্যা ৬ টা ৩০ মিনিটের দিকে বুলেট প্রুফ জ্যাকেট পরা এক ব্যক্তি রাইফেল নিয়ে ৪৪ তোলা ঐ ভবনে ঢুকে পড়েন।
নিউ ইয়র্ক পুলিশ কমিশনার জেসিকা টিশএক প্রেস ব্রিফিংয়ে জানিয়েছেন, হামলাকারী ভবনটিতে ঢুকেই তাণ্ডব চালান। প্রথমেই তিনি দায়িত্বরত নিউ ইয়র্ক পুলিশ ডিপার্টমেন্টের কর্মকর্তা দিদারুল ইসলামকে গুলি করেন।
সূত্র জানায়, অফিসার ইসলামকে পেছন থেকে গুলি করা হয় এবং তিনি হাসপাতালে মারা যান।
এরপর লবির একটি পিলারের আড়ালে লুকিয়ে থাকা এক নারীকে গুলি করেন শেন ট্যামুর নামে ঐ বন্দুকধারী। লবিতে দুজনকে হত্যা করে ক্ষান্ত হননি ট্যামুর। পরবর্তীতে সে লিফটের দিকে এগিয়ে যান এবং ডেস্কের আড়ালে লুকিয়ে থাকা একজন নিরাপত্তারক্ষীকে লক্ষ্য করে গুলি চালান।
এরপর হামলকারী লিফট কল করেন এবং ভবনটির ৩৩ তলায় যান। এই ফ্লোরে রুডিন প্রপার্টিজের অফিস অবস্থিত। এরপর বন্দুকধারী হাঁটতে হাঁটতে গুলি চালাতে শুরু করেন। এ সময় এই ফ্লোরে একজন আহত হন। এবং একজন গুলিবিদ্ধ অবস্থায় মারা যান।
জেসিকা টিশ জানান, হামলাকারী এরপর করিডোর দিয়ে নেমে আসেন এবং নিজের বুকে গুলি করেন। পরে হামলাকারীকে মৃত অবস্থায় ঘটনাস্থলে পাওয়া যায়।
বন্দুকধারী মোট পাঁচজনকে গুলি করেন। যার মধ্যে চারজন মারা যান। গুলিতে নিহত তিন বেসামরিক নাগরিকের মধ্যে দুজন পুরুষ এবং একজন নারী বলে জানা গেছে।
হামলায় একজন পুরুষ গুরুতর আহত হয়েছেন। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।
বন্দুক হামলার ঘটনায় ঐ এলাকায় আতঙ্কে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। এসময় পুলিশ এলাকাটি ঘিরে ফেলে এবং হেলিকপ্টারের সাহায্যে টহল দেয়া হয়। ঘটনাস্থলে এফবিআই এবং বোমা নিষ্ক্রিয়কারী দলও উপস্থিত ছিলো।