ইরানের পরমাণু স্থাপনাগুলো ধ্বংস ছাড়া বিকল্প দেখছে না অ্যামেরিকা

টিবিএন ডেস্ক

প্রকাশিত: মে ১৬ ২০২৫, ১০:০৯ হালনাগাদ: ডিসেম্বর ৩ ২০২৫, ৬:১২

ফাইল ছবি

ফাইল ছবি

  • 0

এমএসএনবিসির সঙ্গে সাক্ষাৎকারে ন্যাশনাল সিকিউরিটি অ্যাডভাইজার বলেন, তেহরানের পরমাণু স্থাপনাগুলো ধ্বংস করে দেয়া ছাড়া কোন বিকল্প পখ নেই। যাতে করে পারমাণবিক সক্ষমতা অর্জনে ইরানকে ঠেকানো যায়।

ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ করতে না দিলে ইরান অ্যামেরিকার সঙ্গে কোন চুক্তিতে সই করবে না। তাই দেশটির সঙ্গে কোন পরমাণু চুক্তি করা প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের উচিত হবে না। এমনটাই মনে করেন সাবেক ন্যাশনাল সিকিউরিটি অ্যাডভাইজার জন বোল্টন। বৃহস্পতিবার এমএসএনবিসির সাথে সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, তেহরানের পরমাণু স্থাপনাগুলো ধ্বংস করে দেয়া ছাড়া কোন বিকল্প দেখছেন না।

এনবিসি নিউয বলছে, তেহরান-ওয়াশিংটন সম্ভাব্য চুক্তিতে মোটা দাগে যেসব বিষয় থাকতে পারে তারমধ্যে অন্যতম শর্ত হবে, ইরান কখনই পরমাণু অস্ত্র তৈরি করতে পারবে না। উচ্চমাত্রার সমৃদ্ধ ইউরেনিয়ামের মজুত বিনষ্ট করতে হবে। নিম্নমাত্রার ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ করা যাবে বেসামরিক ক্ষেত্রে ব্যবহারে এবং আন্তর্জাতিক পরয-বেক্ষকদের পরমাণু স্থাপনা পরযবেক্ষণের সুযোগ দিতে হবে।

এ প্রসঙ্গে সাবেক ন্যাশনাল সিকিউরিটি অ্যাডভাইজার জন বোল্টন মনে করেন ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ করতে না দিলে ইরান কোন চুক্তিতে সই করবে না। তাই দেশটির সঙ্গে কোন পরমাণু চুক্তি করা প্রেসিডেন্টের উচিত হবে না।

এমএসএনবিসির সঙ্গে সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, তেহরানের পরমাণু স্থাপনাগুলো ধ্বংস করে দেয়া ছাড়া কোন বিকল্প পখ দেখছেন না। যাতে করে পারমাণবিক সক্ষমতা অর্জনে ইরানকে ঠেকানো যায়। বোল্টনের মতে দেশটির ১৭টি পরমাণু স্থাপনা আছে, যা ইসরায়েলের সঙ্গে যৌথ হামলায় ধ্বংস করা সম্ভব। এতে মধ্যপ্রাচ্যে কোন বিশৃঙ্খলা তৈরি হবে না বলেও আত্মবিশ্বাসী তিনি।

অন্যান্য নিরাপত্তা বিশ্লেষকরাও বলছেন, দেশটির সঙ্গে ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণের মাত্রা নিয়ে কোন আলোচনা করার যুক্তি নেই। এতে ইরান সময়ক্ষেপণ করে নিজেদের গুছিয়ে নেয়ার সময় পাবে।

অন্যদিকে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, মধ্যপ্রাচ্য সফরে গণতন্ত্রের প্রসার নিয়ে ট্রাম্পের কোন অবস্থান দেখা যায়নি। বরং ব্যক্তিগত ব্যবসায়িক স্বার্থ নিয়েই সচেষ্ট ছিলেন প্রেসিডেন্ট।

এমএসএনবিসি জানাচ্ছে, শুক্রবার তুর্কিয়ে যাওয়ার কথা বিবেচনা করছেন ট্রাম্প। সেখানে ইউক্রেইন যুদ্ধ বন্ধে কিয়িভ-মস্কোর সরাসরি আলোচনার কথা চলছে। দুটি দেশের প্রতিনিধিরা উপস্থিত হলেও তাদের মাঝে বৈঠক নিয়ে অচলাবস্থা বিরাজ করছে।