ম্যাসাচুসেটস থেকে গত এক মাসে প্রায় দেড় হাজার অভিবাসীকে গ্রেপ্তার করেছে ইউএস ইমিগ্রেশন অ্যান্ড কাস্টমস এনফোর্সমেন্ট-আইস।
সংস্থাটি সোমবার জানিয়েছে এ তথ্য।
আইসের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক টড লিয়ন্স বোস্টনে সংবাদ সম্মেলনে রিপোর্টারদের গ্রেপ্তারের সংখ্যা জানান।
তিনি বলেন, মে মাসে ‘অপারেশন প্যাট্রিয়ট’ নামের অভিযান শুরুর পর থেকে এক হাজার ৪৬১ জনকে হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। এ ধরনের অভিযান চলবে জুনেও।
অ্যামেরিকার উত্তরপূর্বাঞ্চলীয় স্টেইটটিতে অভিবাসন আইন বাস্তবায়নে কাজ করা সংস্থাটির ধরপাকড় নিয়ে প্রাসঙ্গিক বিভিন্ন তথ্য জানিয়েছে সিবিএস নিউজ।
অপরাধের রেকর্ড আছে কিংবা অভিযোগ নিষ্পত্তি হয়নি ৭৯০ জনের
আইস জানায়, অভিযানে গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে ৭৯০ জনের হয় অপরাধের রেকর্ড ছিল নতুবা তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ নিষ্পত্তির অপেক্ষায় ছিল। সংখ্যাটি মে মাসে হেফাজতে নেওয়া মোট অভিবাসীর ৫৪ শতাংশ।
মাসব্যাপী গ্রেপ্তারের বিষয়ে আইসের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক লিয়ন্স জানান, তার বেড়ে ওঠা বোস্টন শহরে। ম্যাসাচুসেটসের কর্মকর্তারা যৌন অপরাধী, ফেনটানিল ডিলার, ড্রাগ ডিলার, মানব পাচারকারী ও শিশু ধর্ষণকারীদের বিভিন্ন এলাকায় ছেড়ে দিতেন। এটি তাকে পীড়া দেয়।
ম্যাসাচুসেটসের ডেমোক্র্যাট গভর্নরের প্রতিক্রিয়া
আইসের অভিযানে অপরাধী গ্রেপ্তারের বিষয়ে সমর্থন জানালেও নিরপরাধ লোকজনকে হেফাজতে নেওয়ার নিন্দা জানিয়েছেন ম্যাসাচুসেটসের ডেমোক্র্যাট গর্ভনর মউরা হিলি।
তিনি বলেন, ‘অপরাধে দোষী সাব্যস্ত এবং অপরাধের ইতিহাস থাকা লোকজনকে গ্রেপ্তার করেছে আইস, যাকে আমি সমর্থন করি।’
গভর্নরের ভাষ্য, আইসের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী, তারা ম্যাসাচুসেটসে আরও কয়েক শত মানুষকে গ্রেপ্তার করেছে, যাদের অপরাধের রেকর্ড নেই।
তিনি বলেন, গ্রেপ্তারের ক্ষেত্রে প্রত্যেকের উচিত যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ ও আইন মানা। কাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে, কী অভিযোগে তাদের অভিযুক্ত করা হয়েছে, তাদের অবস্থা কী, সে বিষয়ে তথ্য জনগণকে জানানো উচিত আইসের। এটি জননিরাপত্তা ও কমিউনিটিকে সমর্থনের সঙ্গে যুক্ত বিষয়।