এএফপির খবরে বলা হয়েছে, রোববার দেশটিতে নতুন সরকারের নাম ঘোষণা হয়েছে।
উপসাগরীয় রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে একমাত্র কুয়েতেই নির্বাচিত সরকার থাকা সত্ত্বেও ব্যাপক রাজনৈতিক অস্থিরতা রয়েছে। এ কারণে বিশ্বের সবচেয়ে বেশি তেল উৎপাদনকারী এই দেশের সংস্কার কাজ আটকে রয়েছে।
এমন অস্থির পরিস্থিতিতে আগের সরকার দায়িত্ব দেয়ার মাত্র তিন মাসের মাথায় গত জানুয়ারিতে পদত্যাগ করে।
কুয়েতে ১৯৬২ সালে পার্লামেন্ট ব্যবস্থা চালু করা হলেও বারবার রাজনৈতিক সংকটের কারণে দেশটি এক্ষেত্রে একেবারেই এগুতে পারেনি।
সরকার রোববার তাদের টুইটার অ্যাকাউন্টে বলেছে, ‘শেখ আহমদ নওয়াফ আল-আহমেদ আল-সাবাহ- এর নেতৃত্বে নতুন সরকার গঠনের জন্য আমিরের পক্ষ থেকে একটি ফরমান (বৈধ) জারি করা হয়েছে।’
১৪ সদস্যের মন্ত্রিসভায় বাদের আল-মুল্লা পরিচালিত বৈদেশিক বিষয়ের গুরুত্বপূর্ণ পোর্টফোলিওগুলো অপরিবর্তিত রয়েছে। সরকারে নারীরা গণপূর্ত এবং সমাজ বিষয়ক বিভিন্ন পদ পেয়েছে।
ক্ষমতাসীন আল-সাবাহ পরিবারের পছন্দের মন্ত্রিপরিষদ এবং নির্বাচিত আইনপ্রণেতাদের মধ্যে ক্রমাগত দ্বন্দের কারণে দেশটি ভোগান্তির মধ্যে রয়েছে। এতে হাসপাতাল ও শিক্ষা পরিষেবাগুলো মুখ থুবড়ে পড়েছে।