ম্যানহাটনের পার্ক অ্যাভিনিউর আকাশচুম্বী ভবনটিতে সোমবার হামলার সময় বন্দুকধারী শেন ট্যামুরা প্রায় ৫০টি গুলি ছোড়েন বলে শুক্রবার জানিয়েছে পুলিশ।
ওই হামলায় নিউ ইয়র্ক সিটি পুলিশ ডিপার্টমেন্ট-এনওয়াইপিডির বাংলাদেশি কর্মকর্তা দিদারুল ইসলাম ও তিন বেসামরিক নাগরিক নিহত হন।
পুলিশ জানায়, নিজের প্রাণ কেড়ে নেওয়ার আগে ৩৩ তলার অফিসটিতে একটু বেশি গুলি ছোড়েন ট্যামুরা। ভুলক্রমে একটি লিফটে উঠে তলাটিতে যান এ হামলাকারী।
এনওয়াই ডেইলি নিউজের প্রতিবেদনে জানানো হয়, ৩৪৫ পার্ক অ্যাভিনিউর ভবনে ন্যাশনাল ফুটবল লিগ-এনএফএলের অফিসগুলোতে যাওয়ার পরিকল্পনা ছিল হামলাকারীর।
ঘটনাস্থলে প্রাথমিক অনুসন্ধানের পর পুলিশ সদস্যরা ভবনটির লবিতে গুলির ২৩টি খোসা ও ১৩টি গুলির ভগ্নাংশ উদ্ধার করেন। সেখানেই প্রথম এনওয়াইপিডির কর্মকর্তা দিদারুল ইসলামকে গুলি করে হত্যা করেন ট্যামুরা। দিদারুলের গায়ে ছিল এনওয়াইপিডির পোশাক।
ঘটনার দিন সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে দিদারুলের পাশাপাশি লবিতে আরও তিনজনকে গুলি করেন ট্যামুরা। তার গুলিতে নিহত হন নিরাপত্তারক্ষী ৪৬ বছরের অ্যালান্ড এটিয়েন ও ব্ল্যাকস্টোনের ৪৩ বছর বয়সী নির্বাহী ওয়েসলি লিপ্যাটনার। এ ছাড়া গুলিতে গুরুতর আহত হন এনএফএলের এক কর্মী।
পুলিশ সদস্যরা ৩৩ তলায় গুলির ২৪টি খোসা ও ১৫টি ভগ্নাংশ পান। সে তলায় নজরদারি ক্যামেরায় দেখা যায় হামলাকারীকে।
ওই তলায় রুডিন ম্যানেজমেন্ট নামের প্রতিষ্ঠানের কাচের জানালায় নির্বিচার গুলি করতে থাকেন বন্দুকধারী। পরে দরজা দিয়ে অফিসে ঢুকে যাকে সামনে পান, তাকেই গুলি করেন তিনি। তার হামলার সামনে পড়েন একজন পরিচ্ছন্নতাকর্মীও, তবে একটি ক্লোজেটে ঢুকে প্রাণে বাঁচেন এ কর্মী।
ট্যামুরার গুলিতে নিহত হন রুডিনের ২৭ বছর বয়সী কর্মী জুলিয়া হাইম্যান। তিনি একটি নিরাপদ কক্ষ থেকে বেরিয়ে সম্ভবত পুলিশে কল দিতে চেয়েছিলেন।
সর্বশেষ ব্যক্তিকে গুলির পর বুকে গুলি চালিয়ে আত্মহত্যা করেন ট্যামুরা।
পুলিশ জানায়, সহকর্মীর কাছ থেকে কেনা ট্যামুরার এআর-১৫ অ্যাসল্ট রাইফেলে তখনও ১৫টি গুলি ছিল।
বাহিনীর সূত্রগুলো জানায়, ভুল লিফটে ওঠার পর ট্যামুরাকে হতাশ মনে হয়েছে। তিনি ভবনের এনএফএলের অফিসগুলোতে যাওয়ার পরিকল্পনা করছিলেন বলে মনে করছে পুলিশ।