প্রথমে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম হোয়াটসঅ্যাপে পুলিশ পরিচয়ে আসে একটি ভিডিও কল। ওই কলে বলা হয় অশ্লীলতা ও যৌন হয়রানিমূলক কাজে লিপ্ত থাকার কথা। তারপর বেশ কয়েকটি ভিডিও কলে কালো টাকা সঞ্চয়ের অভিযোগ, ভুয়া নথিপত্র দেখিয়ে দাবি করা হয় কোটি কোটি রুপি।
এভাবেই সাইবার চক্রের ফাঁদে পড়ে পর্যায়ক্রমে সাত কোটি রুপি হারান ভারতের মহারাষ্ট্রের এক জ্যেষ্ঠ চিকিৎসক কর্মকর্তা।
এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে জানা যায়, এ ঘটনায় সোমবার রাজ্যের আহিল্যানগরের সাইবার পুলিশ স্টেশনে অভিযোগ দায়ের করেছেন ভুক্তভোগী চিকিৎসক।
ভুক্তভোগীর অভিযোগ অনুযায়ী, গত ৭ সেপ্টেম্বর থেকে ১০ অক্টোবর পর্যন্ত চক্রটি বিভিন্ন অচেনা নাম্বার থেকে একাধিকবার কল দেয়। এ সময় পুলিশ, গোয়েন্দা ও সুপ্রিম কোর্টের কর্মকর্তা পরিচয়ে কথা বলেন তারা।
একটি ভিডিও কলে প্রতারক চক্র দাবি করে, চিকিৎসকের বিরুদ্ধে অবৈধ বিজ্ঞাপন, অশ্লীলতা প্রচার এবং যৌন হয়রানির অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়েছে এবং তারা এ ঘটনার তদন্ত করছে।
অপর একটি ভিডিও কলে চিকিৎসককে বলা হয় তাকে ‘ডিজিটাল গ্রেপ্তারের’ অধীনে রাখা হয়েছে। ফলে ইন্টারনেট ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তার সব কার্যকলাপ লক্ষ্য করা হচ্ছে।
পরে ওই চিকিৎসকের ব্যাংকে কালো টাকা সঞ্চয়ের অভিযোগ ও পরিবার বিপদে পড়ার আশঙ্কা দেখিয়ে অর্থ দাবি করা হয়।
এ সময় ঘটনা সত্য প্রমাণ করতে চিকিৎসকের কাছে সুপ্রিম কোর্ট ও কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থার নামে তৈরি বিভিন্ন জাল নথি, আদেশপত্র উপস্থাপন করে সাইবার চক্র।
এক পর্যায়ে চাপে পড়ে ভুক্তভোগী বিভিন্ন ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা পাঠাতে শুরু করেন। এভাবে পর্যায়ক্রমে প্রায় ৭কোটি ১৭ লাখ রুপি তুলে দেন বেশধারী প্রতারকদের কাছে।
পরে ঘটনাটি পরিচিত কয়েকজনের কাছে প্রকাশ করলে আর্থিক লেনদেন ও তাকে দেখানো নথিপত্রগুলো নিয়ে অনেকে তারা সন্দেহ প্রকাশ করে।
প্রতারণার শিকার ওই চিকিৎসক তখন জাল নথিপত্রগুলো চিহ্নিত করতে পারেন।
এ ঘটনায় পুলিশের সাইবার ক্রাইম শাখা তদন্ত চালাচ্ছে।