ইলিনয়ের ট্রান্সপোর্ট ডিপার্টমেন্টে (আইডিওটি) কর্মরত এক ভারতীয় বংশোদ্ভূত ব্যক্তিকে দায়িত্ব পালনকালীন সময় তার পরিচয় ও বৈধতার নথি নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে ইমিগ্রেশন অ্যান্ড কাস্টমস এনফোর্সমেন্ট (আইস)।
দ্য শিকাগো টাইমস-এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভারতীয় বংশোদ্ভূত ওই ব্যক্তি অ্যামেরিকার নাগরিক। তিনি ইলিনয়ের পার্ক রিজ এলাকার কাছে একটি নির্মাণ প্রকল্পে কাজ করছিলেন।
ইলিনয়ের গভর্নর জেবি প্রিটজকারের কার্যালয়ের বরাত দিয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তিনজন মুখোশ পরা আইস এজেন্ট ওই ব্যক্তিকে অভিবাসন বিষয়েই নয় বরং নিউ ইয়র্ক সিটির নবনির্বাচিত মেয়র জোরান মামদানি সম্পর্কেও প্রশ্ন করেন। আইস এজেন্টরা ওই ব্যক্তি মামদানিকে চেনেন কিনা সে প্রশ্ন করেন।
নিউ ইয়র্কের সাবেক গভর্নর অ্যান্ড্রু কুওমো এবং রিপাবলিকান কার্টিস স্লিওয়াকে পরাজিত করে য়েইতিহাসের পাতায় নিজের নাম লিখিছেন জোরান মামদানি। প্রথম মুসলিম ও দক্ষিণ এশিয়ার ঐতিহ্যের উত্তরাধিকারী হিসেবে নিউ ইয়র্ক সিটির মেয়র নির্বাচিত হন মামদানি।
প্রতিবেদনে বলা হয়, আইস এজেন্টদের অভিযানের নিন্দা জানিয়ে প্রিটজকার বলেন যে ‘এই ঘটনাটি অ্যামেরিকান নাগরিকদের তাদের ত্বকের রঙের ভিত্তিতে জিজ্ঞাসাবাদ করার বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করছে।’
দ্য শিকাগো টাইমসকে দেয়া এক বিবৃতিতে প্রিটজকার বলেন, ‘আমি হতভম্ব যে তারা আমাদের স্টেটের একজন কর্মচারীকে থামিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে, যিনি পরিশ্রম করে স্টেটের রাস্তা ও অবকাঠামো উন্নত করার কাজ করছিলেন। আমাদের সরকারি কর্মীদের এমন পরিবেশে কাজ করার সুযোগ থাকা উচিত, যেখানে মুখোশ পরা এজেন্টরা কোনো বৈধ কারণ ছাড়াই তাদের টার্গেট করবে না।’
ঘটনার পর পার্ক রিজ–নাইলস স্কুল ডিস্ট্রিক্ট সিক্সটি ফোর এলাকায় বসবাসরত স্থানীয় বাসিন্দা, শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের বাড়ির বাইরে না বের হওয়ার পরামর্শ দেয়া হয়।
ডিস্ট্রিক্টের সুপারিনটেনডেন্ট বেন কলিন্স জানিয়েছেন, তিনি ওই এলাকায় আইস এজেন্টদের উপস্থিতির খবর সম্পর্কে অবগত, এবং কিছু স্কুলের কাছাকাছি এলাকাতেও তাদের দেখা গেছে বলে তথ্য পেয়েছেন।
তবে হোমল্যান্ড সিকিউরিটি ডিপার্টমেন্ট জানায়, পার্ক রিজ এলাকায় আইস এজেন্টদের টহলের খবর সত্য নয়।
হোয়াইট হাউসে ফেরার পর প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প দেশজুড়ে ব্যাপকভাবে অভিবাসীদের ফেরত পাঠানোর উদ্যোগ নিয়েছেন।
ফলে আইসের অভিযানের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় দেশজুড়ে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে। বিশেষ করে ডেমোক্র্যাট নিয়ন্ত্রিত শহরগুলোতে ট্রাম্প প্রশাসন অতিরিক্ত সংখ্যায় এজেন্ট মোতায়েন করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে।