তার আগে বুধবার প্রথমবারের মতো সংবাদমাধ্যমের সামনে নিজেদের গবেষণার বেশ কিছু দিক তুলে ধরেন কমিটির সদস্যরা। ওয়াশিংটনে নাসার হেডকোয়ার্টারে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন তারা।
গবেষকেরা জানান, আন-আইডেন্টিফায়েড অ্যানোম্যালাস ফেনোমেনা (ইউএপি) যা ইউএফও হিসেবে বহুল প্রচলিত, নিয়ে গবেষণার জন্য তৈরি এ দলটি প্রায় ৮০০ ইউএপি নিয়ে কাজ করেছে।
নাসার অল ডোমেইন অ্যানোম্যালি রেসোলিউশন অফিসের (এএআরও) ডিরেক্টর শন কার্কপ্যাট্রিক বলেন, ‘প্রতি মাসে আমরা ৫০ থেকে ১০০ নতুন রিপোর্ট পেয়েছি। পুরো ডেটাবেজের মধ্যে মাত্র ২-৫ শতাংশই অস্বাভাবিক।’
উদাহরণ হিসেবে সাংবাদিকদের অ্যামেরিকান নেভির বিমানের রেকর্ড করা একটি ভিডিও ক্লিপ দেখানো হয়, যেখানে পশ্চিম অ্যামেরিকার রাতের আকাশে কয়েকটি আলোক বিন্দু দেখা যাচ্ছে। নেভির বিমানটি বিন্দুগুলোকে তাড়া করতে ব্যর্থ হয়।
নাসার গবেষণায় দেখা গেছে আদতে সে আলোর বিন্দুগুলোর উৎস ছিল একটি বাণিজ্যিক বিমান। যা একটি বিমানবন্দরে অবতরণের প্রস্তুতি নিচ্ছিল।
কার্কপ্যাট্রিক আরও উল্লেখ করেন যে, অধিকাংশ গবেষণা চালাতে হয়েছে অ্যামেরিকা মহাদেশের চারপাশের ঘটনাগুলো নিয়েই। নিরাপত্তাজনিত কারণে তারা বহু দেশের আকাশে গবেষণা চালাতে পারেননি।
নাসার ইউএপি কমিটির প্রধান ডেভিড স্পিগেলের মতে ইউএপি সংক্রান্ত ডেটা অনেকসময় স্পষ্ট থাকে না। আবার অনেকসময় একে খুব সহজেই বিকৃত করা যায়।
অস্ট্রেলিয়ার এক গবেষকের দলের অদ্ভূত এক ধরণের রেডিও ওয়েভ দেখতে পাওয়ার ঘটনা উল্লেখ করে স্পিগেল বলেন, ‘ওয়েভগুলোর গঠন খুবই অদ্ভূত। দুপুর বেলা এগুলোর পরিমাণ বেড়ে যেত। তারা বুঝতে পারছিলেন না এগুলো কোথা থেকে আসছে। পরে দেখা গেল যে, লাঞ্চের সময় খাবার গরম করতে যে মাইক্রোওয়েভ ব্যবহার করা হচ্ছিল সেখান থেকেই সিগন্যাল পাচ্ছিল গবেষকদের যন্ত্রগুলো।’
নাসার কমিটির দাবি অনেকে পাইলটই আবার অন্ধবিশ্বাস থেকে ইউএপি সংক্রান্ত কোনো রিপোর্ট করেন না। যে কারণে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য বঞ্চিত হয় নাসা।