সফররত ইইউ প্রতিনিধি দলের সঙ্গে মঙ্গলবার ইসি তাদের প্রস্তুতি নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় ইসির পক্ষ থেকে জানানো হয়, ইইউ নির্বাচনের সময় যত খুশি পর্যবেক্ষক পাঠাতে পারবে, তাতে কোনো বাধা নেই।
বৈঠকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল, ইইউ প্রতিনিধিদলের নেতা চেলেরি রিকার্ডো, বাংলাদেশে ইইউ রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াইটলিসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।
আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) কাছে জানতে চেয়েছে সফররত ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) প্রতিনিধি দল।
ঢাকার আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে বৈঠক শেষে ইসি সচিবালয়ের অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ সাংবাদিকদের বলেনন, ‘ইইউ প্রতিনিধিরা আমাদের দ্বাদশ ভোটের প্রস্তুত সম্পর্কে জানতে চেয়েছেন। কমিশন ফেয়ারলি নির্বাচন করতে সক্ষম কিনা- তা জানতে চেয়েছেন। আমাদের জবাবে তারা সন্তুষ্ট হয়েছেন।’
অশোক কুমার বলেন, ‘আমাদের ভোটার, ভোটকেন্দ্র, পর্যবেক্ষক পাঠানোর বিষয় ও সিসি ক্যামেরার বিষয়েও তারা জানতে চেয়েছেন। তাদের একটা টেকনিক্যাল টিম আমাদের নির্বাচন ব্যবস্থাপনার কর্মকর্তাদের সঙ্গে ১৮ অথবা ১৯ তারিখ বৈঠক করবেন।’
পর্যবেক্ষক পাঠানোর প্রসঙ্গে অশোক কুমার দেবনাথ বলেন, ‘তারা আমাদের পরিস্থিতি দেখেছে। আমাদের প্রস্তুতি দেখেছে। যত খুশি পর্যবেক্ষক পাঠাতে পারবে, তাতে কোনো লিমিটেশন নেই। সেপ্টেম্বরের মধ্যে আবেদনগুলো এলে ভালো হয়। আরও কিছু ফর্মালিটিস আছে। সেক্ষেত্রে স্বরাষ্ট্র ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ক্লিয়ারেন্স দরকার হবে। সেক্ষেত্রে তারা যদি নিরপেক্ষ পর্যবেক্ষক পাঠায় যত খুশি তত, তাতে কোনো আপত্তি নেই নির্বাচন কমিশনের।’
তিনি জানান, ‘নির্বাচন কমিশন বলেছে, ৯১১টা নির্বাচন করেছে। সেক্ষেত্রে তারা সন্তুষ্ট। পরিবেশ নিয়ে সন্তুষ্ট। তারা আরও বিস্তুারিত আলোচনা করবে।’
নির্বাচনকালীন সরকার নিয়ে কোনো কথা হয়নি উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘রাজনৈতিক দলগুলোকে নির্বাচনে আনা নিয়ে তারা আমাদের কাছে কিছু জানতে চায়নি। তারা জানতে চেয়েছে ভোটার সংখ্যা কত।’
আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পরিবেশ মূল্যায়ন করতে রিকার্ডো চেলেরির নেতৃত্বে ইউরোপীয় ইউনিয়নের ছয় সদস্যের নির্বাচনি পর্যবেক্ষক দল রোববার ভোরে ঢাকায় পৌঁছায়। দুই সপ্তাহের সফরে আগামী ২৩ জুলাই পর্যন্ত ইইউ প্রতিনিধি দলের সরকার, রাজনৈতিক দল, নির্বাচন কমিশন, নিরাপত্তা কর্মকর্তা, সুশীল সমাজ এবং গণমাধ্যমের সঙ্গে বৈঠকের কথা রয়েছে।
নির্বাচন কমিশনের আমন্ত্রণে দুই সপ্তাহের জন্য বাংলাদেশ সফরে এসেছে ইইউ’র এই প্রাক-নির্বাচন পর্যবেক্ষক দল।