লুইজিয়ানায় বিরল মাংসখেকো ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণে বাড়ছে মৃতের সংখ্যা

টিবিএন ডেস্ক

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২০ ২০২৫, ১০:০৮

সমুদ্রের উষ্ণতা বাড়ায় বাড়ছে মাংসখেকো এই ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ। ছবি:  সারাসোটা ম্যাগাজিন

সমুদ্রের উষ্ণতা বাড়ায় বাড়ছে মাংসখেকো এই ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ। ছবি: সারাসোটা ম্যাগাজিন

  • 0

শুধু লুইজিয়ানা নয় অন্যান্য স্টেটেও এই ব্যাকটেরিয়ায় আক্রান্তের হার বৃদ্ধি পাচ্ছে।

লুইজিয়ানায় বিরল মাংসখেকো ব্যাকটেরিয়ায় আক্রান্ত হয়ে আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে। স্টেটের একজন স্বাস্থ্য কর্মকর্তা জানান, এ নিয়ে মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে পাঁচজনে।

তবে এটি এখনও স্পষ্ট নয় যে ওই ব্যক্তি কীভাবে এই ব্যাকটেরিয়ায় সংক্রমিত হয়েছেন। স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা সংক্রমণে আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়া ব্যক্তির নাম প্রকাশ করেননি।

গত আগষ্টে লুইজিয়ানা হেলথ ডিপার্টমেন্ট জানায়, এ বছর এই ব্যাকটেরিয়ায় আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়া দুজন ব্যক্তি দূষিত কাঁচা ঝিনুক খেয়েছিলেন। সাধারণত খোলা ক্ষত বা চোট দূষিত পানির সংস্পর্শে আসলে এই ব্যাকটেরিয়ায় আক্রান্ত হতে পারে। এছাড়া কাঁচা বা ভালোভাবে রান্না না করা শেলফিশ, যেমন ঝিনুক খেলেও এই সংক্রমণে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

সিবিএস নিউজ জানায়, ২০২৫ সালে এই ব্যাকটেরিয়ায় আক্রান্তের ২৬টি ঘটনা নথিভুক্ত করা হয়েছে। লুইজিয়ানায় গত দশকে গড়ে প্রতি বছর সাতটি সংক্রমণ এবং একজনের মৃত্যু হয়েছে।

শুধু লুইজিয়ানা নয় অন্যান্য স্টেটেও এই ব্যাকটেরিয়ায় আক্রান্তের হার বৃদ্ধি পাচ্ছে। আলাবামায় ১০টি এবং মিসিসিপিতে তিনটি ব্যাকটেরিয়ার আক্রান্তের নথিভুক্ত ঘটনা ঘটেছে, এবং মিসিসিপিতে আক্রান্ত একজনের অবস্থা ছিল আশঙ্কাজনক।

গত মাসেই ফ্লোরিডায় এই ব্যাকটেরিয়ার ১৩জন আক্রান্তের খবর নিশ্চিত করা হয়। যার মধ্যে আটজনের মৃত্যু হয়েছে। ম্যাসাচুসেটসও এই ব্যাকটেরিয়া আক্রান্তের খবর পাওয়া গেছে।

ভিব্রিও ভালনিফিকাস নামে এই ব্যাকটেরিয়া উষ্ণ গরম পানিতে বিস্তার লাভ করে। সাধারণত মে থেকে অক্টোবরের মধ্যে সবচেয়ে বেশি সংক্রমণ ঘটে। এটি মাংসখেকো ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণ হিসেবে পরিচিত নেক্রোটাইজিং ফ্যাসিয়াইটিসসহ প্রাণঘাতী বিভিন্ন রোগ সৃষ্টি করতে পারে। সিডিসির তথ্য অনুযায়ী, এই ব্যাকটেরিয়ায় আক্রান্ত প্রতি পাঁচজনের মধ্যে প্রায় একজন মারা যান।

বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, সমুদ্রের উষ্ণতা বাড়ায় ভিব্রিও ভালনিফিকাস ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ বাড়ছে। সাধারণত এই ব্যাকটেরিয়াটি উপসাগরীয় অঞ্চলের উপকূলে বেশি দেখা যায়।

তবে এলএসইউ হেলথের সংক্রামক রোগ বিশেষজ্ঞ ফ্রেড লোপেজ জানান, উপসাগরীয় অঞ্চলের উপকূলে এর বিস্তার দেখা গেলেও উত্তরের এলাকায়ও এই ব্যাকটেরিয়া ছড়িয়ে পড়ছে।

ব্যাকটেরিয়ার বিস্তার রোধে ইতোমধ্যে কিছু উপকূলীয় অঞ্চলে ঝিনুক ঝিনুক উৎপাদন খামার বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।