তিনি জানান, অ্যামেরিকান সরকারের কাছে বাংলাদেশসহ যোগ্য আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের অ্যামেরিকায় অধ্যয়নের সুযোগ পৌঁছে দেয়া একটি ‘শীর্ষ অগ্রাধিকার’।
তিনি আরও বলেন, ‘অ্যামেরিকা বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের স্বাগত জানায়। যুগান্তকারী গবেষণায় সম্পৃক্ত হওয়া থেকে শুরু করে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে শিক্ষাজীবনকে সমৃদ্ধ করা প্রভৃতির মাধ্যমে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা অ্যামেরিকাজুড়ে তাদের কৃতিত্বের স্বাক্ষর রেখে চলেছেন।’
অ্যামেরিকান দূতাবাস স্টুডেন্ট ভিসা আবেদনকারীদের সাক্ষাৎকারের জন্য বিশেষভাবে একটি ‘সুপার ফ্রাইডে’ ইভেন্টের আয়োজন করেছে।
অনোষ্ঠানে শিক্ষার্থীরা জানান, শিক্ষার জন্য তাদের কাছে অ্যামেরিকার শীর্ষস্থানীয় বিশ্ববিদ্যালয়গুলো খুবই আকর্ষণীয় মনে হয় এবং শিক্ষার্থী ভিসা প্রার্থীদের অগ্রাধিকার দেয়ার জন্য তারা দূতাবাসের প্রচেষ্টার প্রশংসা করেন।
দূতাবাসের কনস্যুলার কর্মীরা অ-অভিবাসী শিক্ষার্থী ভিসার জন্য আবেদনকারী ৫০০ জনেরও বেশি শিক্ষার্থীর সাক্ষাৎকার নিয়েছেন।
গত বছরে ঢাকায় অ্যামেরিকান দূতাবাসের কর্মীরা ভিসার অপেক্ষার সময় কমাতে ৬ হাজার জনেরও বেশি নন-ইমিগ্র্যান্ট ভিসা আবেদনকারী এবং শিক্ষার্থীসহ দুই হাজার জনেরও বেশি অভিবাসী ভিসা আবেদনকারীদের সাক্ষাৎকারের জন্য ১৬ সপ্তাহ সময় নিয়েছেন।
২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষে, ২০০টিরও বেশি দেশ থেকে ৯৮ লাখ ৪৮ হাজার ৫১৯ জন আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীর নাম অ্যামেরিকার উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে নথিভুক্ত হয়েছে।
স্টুডেন্ট ভিসার সংখ্যার দিক থেকে ঢাকার অ্যামেরিকান দূতাবাস ও কনস্যুলেটের মধ্যে বিশ্বে সপ্তম স্থানে রয়েছে।
অ্যামেরিকান দূতাবাসের মতে, উচ্চশিক্ষা গ্রহণে আগ্রহী আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য অ্যামেরিকা শীর্ষ গন্তব্য।
অ্যামেরিকায় বাংলাদেশি শিক্ষার্থীর সংখ্যা ২০১০-১১ শিক্ষাবর্ষে ২ হাজার ৮০০ থেকে বেড়ে ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষে ১০ হাজার ৫৯৭-এ উন্নীত হয়েছে।
অ্যামেরিকান দূতাবাস বলেছে, কোভিড-নাইন্টিন মহামারি বিশ্বজুড়ে আন্তর্জাতিক শিক্ষা বিনিময় এবং শিক্ষার্থীদের গতিশীলতাকে ব্যাহত করেছে। এরপরেও তারা স্টুডেন্ট ভিসার আবেদনে সহায়তা করতে এবং ‘ফল সেমিস্টার’ শুরুর আগে যতটা সম্ভব শিক্ষার্থীর সাক্ষাৎকার গ্রহণের বিষয়টি নিশ্চিতে ‘সুপার ফ্রাইডে’ অফারসহ বিভিন্ন বিশেষ প্রচেষ্টা চালাচ্ছে।