ট্রাম্পের গোপন নথির মামলার বিচার শুরু মে-তে
টিবিএন ডেস্ক
জুলাই ২১ ২০২৩, ১৫:৫৩
- 0
সাবেক প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে গোপন নথি অব্যবস্থাপনার মামলার বিচারকাজ শুরু হবে আগামী মে মাসে। ফ্লোরিডার ফেডারেল ডিস্ট্রিক্ট জাজ এইলিন ক্যাননের এক আদেশে শুক্রবার এই তথ্য প্রকাশ পেয়েছে।
তাতে বলা হয়েছে, আগামী বছরের ২০ মে ফ্লোরিডার ফোর্ট পিয়ার্স আদালতে এই মামলার বিচার শুরু হবে। জাস্টিস ডিপার্টমেন্ট এই মামালার কার্যক্রম চলতি বছরের ডিসেম্বরে শুরুর আবেদন করে। অন্যদিকে ট্রাম্পের আইনজীবীরা আগামী প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের পর কার্যক্রম শুরুর আবেদন করেন। তবে বিচারক কোনো আবেদনই গ্রহণ করেননি।
অ্যামেরিকার ইতিহাসে এবারই প্রথম সাবেক কোনো প্রেসিডেন্ট বড় ধরনের আইনি জটিলতায় পড়তে হয়েছে। বিভিন্ন মামলায় আদালতে হাজিরার তারিখে ভরে উঠছে তার নির্বাচনি ক্যালেন্ডারের পাতা।
তিনি গত কয়েক মাসের মধ্যে দুটি ফৌজদারি অপরাধে অভিযুক্ত হয়েছেন, দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন একটি দেওয়ানি মামলায়। তার বিরুদ্ধে চলছে আরও কিছু তদন্ত।
প্রেসিডেন্সি শেষে হোয়াইট হাউয ছাড়ার পরেও রাষ্ট্রীয় কিছু গোপন নথি ছিল ট্রাম্পের জিম্মায়। সেগুলো গত আগস্টে তার ফ্লোরিডার মার-অ্যা-লাগোর বাড়ি থেকে জব্দ করে এফবিআই। তার মাধ্যমে ক্লাসিফায়েড নথির অব্যবস্থাপনা হয়েছে কিনা- তা জানতে তদন্ত শুরু করে জাস্টিস ডিপার্টমেন্ট।
ফেডারেল আইনজীবীরা ট্রাম্পকে এই ঘটনায় ফৌজদারি অপরাধে অভিযুক্ত করেন। জাস্টিস ডিপার্টমেন্ট থেকে প্রকাশিত অভিযোগপত্রের টাইটেলে বলা হয়, ‘ইউনাইটেড স্টেইটস অফ অ্যামেরিকা ভার্সেস ডনাল্ড ট্রাম্প অ্যান্ড ওয়াল্ট নাউটা’।
নাউটা তার ব্যক্তিগত সহকারী, তাকেও গোপন নথির অব্যবস্থাপনায় জড়িত থাকার অপরাধে অভিযুক্ত করা হয়েছে।
এই প্রথম কোনো সাবেক প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রীয় অপরাধের অভিযোগ আনা হয়।
৪৯ পৃষ্ঠার অভিযোগপত্রে বলা হয়, ট্রাম্পের কাছে থাকা নথিগুলোর মধ্যে সবচেয়ে স্পর্শকাতর ছিল ‘রাষ্ট্রের পারমাণবিক সক্ষমতা সম্পর্কিত’ নথি। সেগুলোতে অ্যামেরিকার পারমাণবিক অস্ত্র, অ্যামেরিকা ও এর মিত্রদের নিরাপত্তার দুর্বল দিক ও আক্রান্ত হলে অ্যামেরিকা সামরিক হামলার মাধ্যমে কীভাবে জবাব দেবে, সেসব পরিকল্পনার বিস্তারিত তথ্য রয়েছে। ট্রাম্প নথিগুলো বাক্সে ভরে মার-অ্যা-লাগোর বাড়ির বেডরুম, স্টোররুম, বাথরুম ও বলরুমে রেখে দিয়েছিলেন। সেখান থেকে কিছু বাক্স তিনি নিউ জার্সির বেডমিনস্টার গলফ ক্লাবে সরিয়ে নেন।
এ ঘটনায় তার বিরুদ্ধে ২০২১ সালে ক্ষমতা ছাড়ার পর জাতীয় নিরাপত্তার তথ্য নিজের কাছে রেখে দেয়া সংক্রান্ত ৩১টি অভিযোগ, ন্যায়বিচার বাধাগ্রস্ত করার ষড়যন্ত্রের একটি, নথি বা রেকর্ড আটকে রাখার একটি, নথি বা রেকর্ড বেআইনিভাবে গোপন করার একটি, ফেডারেল তদন্তে নথি গোপন করার একটি, গোপন করার পরিকল্পনার একটি এবং মিথ্যা বিবৃতি ও উপস্থাপনার একটিসহ মোট ৩৭টি অভিযোগ আনা হয়।